দানগ্রামের জমিদার বাড়িতে দুর্গাপুজোর দিন লক্ষ্মীপুজো
বর্তমান | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সোমেন পাল গঙ্গারামপুর
কালের নিয়মে জমিদার, জমিদারি প্রথা-কোনওটাই আর নেই। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরের দানগ্রামের জমিদার বাড়ির পুজো এখনও হয়ে আসছে। জৌলুস কিছুটা কমলেও শতাব্দী প্রাচীন রীতি মেনে এখনও পুজো হয়। দুর্গাপুজোর দিন দানগ্রামের জমিদার বাড়িতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। বর্তমানে পুজোর একদিন আগে ৫০ ভরি অলংকার ব্যাঙ্কের লকার থেকে এনে দেবীকে সাজানো হয়। পুজোর পাঁচদিন দেবীকে অন্নভোগ দেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ঈশ্বর চৌধুরীর হাত দিয়ে প্রথম দানগ্রামের জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। সেসময় মালদহ জেলার কিছু অংশ এবং দুই দিনাজপুরের কয়েকটি ব্লকে ছিল তাদের জমিদারি। সেসময় পুজোর পাঁচটা দিন বিভিন্ন গ্রামে থেকে জমিদার বাড়িতে মানুষের ঢল নামত। পাঁচদিন ধরে চলত খাওয়া-দাওয়া। সারারাত চলত চণ্ডী পালাগানের আসর। রাত জেগে মানুষ পালাগান শুনতেন। পুজোর পাঁচদিন ধরে চলত কয়েক হাজার মানুষের ভোজন, কুমারী পুজো। সেদিন এখন আর নেই। সময়ের সঙ্গে বন্ধ হয়েছে জমিদার বাড়ির নহবত। তবে এখনও আশপাশের মানুষ এই পুজোয় আসেন। জমিদারবাড়ির দেবীকে দর্শন করেন।
পুজোর আগে দীর্ঘদিনের প্রাচীন ঠাকুর দালান নতুন করে মেরামত করা হচ্ছে। মণ্ডপের ভিতরেই চলছে মূর্তি গড়ার কাজ। জমিদার বাড়ির সদস্য শান্তনু চৌধুরী বলেন, এই পুজোয় আমাদের ছয়টি পরিবার একত্রিত হই। পরিবারের সকলেই কর্মসূত্রে প্রায় বাইরে থাকে। তবে কয়েকজন গ্রামেই আছে। আগে তান্ত্রিক মতে দেবীকে পুজো করা হতো। বর্তমানে গোস্বামী মতে পুজো করি। একই কাঠামোতে দেবী সাবেকি রূপে পূজিত হন। নিজস্ব চিত্র।