বয়স মাত্র তিন বছর। এর মধ্যেই জাঁকজমক, আভিজাত্য ও অভিনবত্বে নজর কেড়েছে কানাডার গুয়েলেফের পুজো। গুয়েলেফের অপর নাম রয়্যাল সিটি। সেই কারণে স্থানীয় বাঙালিরা এই পুজোর নাম দিয়েছেন রয়্যাল সিটি দুর্গাপুজো। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার মতো এখানেও পুজো হয় সপ্তাহান্তে, শনি ও রবিবার। সেই হিসেবে এবার এখানে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে ৪ ও ৫ অক্টোবর। আর পাঁচটা পুজোর থেকে রয়্যাল সিটির পার্থক্য কোথায়? পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য হৈমন্তী ভট্টাচার্য জানালেন, ‘আমাদের এখানে পুজোর দায়িত্বভার থাকে মহিলা পুরোহিতের কাঁধে।’ পুজো কমিটির সদস্য সংখ্যা ৮০ হলেও আড়ম্বরে কোনও খামতি থাকে না। এবার কলকাতা থেকে গায়িকা সাবেরী ভট্টাচার্য আসছেন। এবছরের পুজোর থিম—‘গঙ্গা থেকে গ্র্যান্ড-মা দুর্গার চিরন্তন যাত্রা’। অন্টারিওর বুক চিরে বয়ে চলেছে গ্র্যান্ড নদী। কোথাও যেন মিশে গিয়েছে গঙ্গা ও গ্র্যান্ড। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘গঙ্গা থেকে গ্র্যান্ড—নদী ও স্থানের পরিচয় কোথাও যেন সম্পৃক্ত হয়ে যায়।’
কানাডার ভ্যাঙ্কুভারেও চলছে দুর্গাপুজোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ‘বংমিলান্তি’র পুজো এবার তৃতীয় বছরে পড়ল। এবছরের পুজো-সজ্জায় কোনও প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে জানালেন কমিটির অন্যতম সদস্য শ্যামাশিস গুপ্ত। এখানে এবার পুজো হবে ২৬, ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর। পুজো উপলক্ষ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রবাসী বাঙালিরা। শেষ দিনে লাইভ কনসার্ট করতে আসছে ‘ক্যাকটাস’।
পুজোর আনন্দ থেকে বাদ পড়েনি উত্তর আমেরিকার মেক্সিকোও। এ দেশের কেরেতারো নামে ছোট্ট একটা শহরে পুজোর আয়োজন করেন প্রবাসী বাঙালিরা। ‘অ্যাসোসিয়েশন অব কেরেতারো সার্বজনীন’-এর পুজো এবার চতুর্থ বছরে পড়ল। এবছর এখানে পুজো হবে একদিন, ২৭ সেপ্টেম্বর। এ পুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ প্রতিমা নির্মাণ। কারণ এখানে মাতৃমূর্তি গড়েন স্থানীয়রাই। পুজো কমিটির এক উদ্যোক্তা জানান, গত বছর তাঁদের প্রতিমা দেখে মন ভরে গিয়েছিল স্থানীয়দের। মেক্সিকান ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তৈরি হবে এবারের দুর্গা প্রতিমা।