সুন্দরবনে চলছে ইলিশ উৎসব। তবে, পর্যটন ব্যবসায়ীদের পাখির চোখ এখন দুর্গাপুজোর বুকিং। বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা দু’রাত-তিন দিনের জন্য সুন্দরবন ভ্রমণ, সঙ্গে গ্রামীণ পুজো দেখার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যার বুকিং শুরু হয়েছে। এ বার পুজোর বুকিং নিয়ে কালোবাজারি রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করছেন সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিন ১২০টি নৌকা ও লঞ্চ সুন্দরবন ভ্রমণের অনুমতি পায়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আগে থেকেই নৌকা ও লঞ্চ বুক করে রাখেন। ফলে, সমস্যায় পড়েন সেই সব পর্যটন ব্যবসায়ী, যাঁদের কাছে পর্যটক থাকলেও নির্দিষ্ট দিনে জলযানের অনুমতি থাকে না। বহু বার এ নিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে ট্যুর অপারেটরদের অশান্তি হয়েছে। এমন একাধিক বিষয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে বিস্তর অভিযোগ জমা হচ্ছিল। সমস্যার সমাধানে নতুন বুকিং পদ্ধতি চালু করেছেন তাঁরা। নতুন নিয়মে, নৌকা বা লঞ্চ বুক করতে গেলে মালিকের মোবাইল নম্বরে ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি দিলেই বুকিং নিশ্চিত হবে। জলযানের যাত্রী বহন ক্ষমতা অনুযায়ীই বুকিং নিতে পারবেন মালিকেরা। কিন্তু ভ্রমণের নির্দিষ্ট দিনে পর্যটক কম বা বেশি হলে ২০ শতাংশ নাম সংশোধন করতে পারবেন তাঁরা, সেটাও মাত্র এক বারের জন্য। আগে বুকিং হওয়া ১২০টি জলযান ছাড়া নির্দিষ্ট দিনে আর কোনও জলযান জঙ্গলে প্রবেশের অনুমতি পেত না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বুকিংয়ের তালিকায় থাকা যে ক’টি জলযান নির্দিষ্ট দিনে ভ্রমণে যাবে না, সেগুলির পরিবর্তে অপেক্ষমাণ সর্বাধিক ২০টি জলযান ভ্রমণে যেতে পারবে।
বুকিং করেও যদি কোনও জলযান ভ্রমণে না যায়, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।