শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার সুরকে কোর্টে ‘বিরূপ সাক্ষী’ ঘোষণা করল সিবিআই। শনিবার এই মামলায় প্রদীপকুমারের সাক্ষ্য গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু তিনি যা জবাব দিয়েছেন, তাতে সাক্ষী হিসেবে তিনি ‘বিরূপ’ হয়েছেন বলেই মনে করেছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মে ও ডিসেম্বর মাসে প্রদীপকুমার সিবিআইকে লিখিত বয়ান দিয়েছিলেন। কিন্তু কী বয়ান দিয়েছিলেন, তা এ দিন ‘স্মরণ’ করতে পারেননি তিনি।
সিবিআই সূত্রের খবর, চিত্তরঞ্জন মণ্ডল এসএসসি-র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যাওয়ার পরে প্রদীপকুমার সুর ওই পদে বসেন। ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন তিনি। তিনি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে তাঁকে এসএসসি-র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। পরবর্তী কালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে পদ ছাড়েন তিনি। সিবিআইয়ের কাছে তিনি দাবি করেছিলেন, এই মামলায় অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য বাঁকা পথে নিয়োগের জন্য চাপ দিতেন।
এ দিন সিবিআইয়ের কৌঁসুলির প্রশ্নে জবাব এড়িয়ে যান প্রদীপকুমার। সুবীরেশের কৌঁসুলি সঞ্জয় দাশগুপ্ত তাঁকে প্রশ্ন করেন, “আপনি এসএসসি-র শীর্ষ পদে থাকার সময় সুবীরেশ এসএসসি-র পদাধিকারী ছিলেন না। তা হলে কী ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল?” প্রদীপ বলেন, “লিখিত বয়ানের ক্ষেত্রে আমার কিছু মনে নেই এখন। অনেক দিন আগেকার ঘটনা আমি কিছু মনে করতে পারছি না।” পার্থের কৌঁসুলি বিপ্লব গোস্বামী বলেন, “সিবিআইয়ের পেশ করা নথিতে আমার মক্কেল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তাই এই সাক্ষীকে জেরার প্রয়োজন নেই।” এর পরেই সিবিআই প্রদীপকুমারকে ‘বিরূপ’ সাক্ষী হিসেবে ঘোষণা করে।