মেলায় ঘুরতে যাওয়াই কাল! গণধর্ষণের শিকার হয়ে বাড়ি ফিরল কিশোরী, বর্ণনা শুনে শিউরে উঠেছে পুলিশ
আজকাল | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: উৎসবের আবহে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী। গণধর্ষণের অভিযোগে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মেলায় ঘুরতে গিয়েই অভিযুক্ত এক যুবকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল কিশোরীর। সেই গল্প করার অজুহাতে কিশোরীকে ফাঁকা জায়গায় টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের গোদ্দা জেলায়। শনিবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বোয়ারজিজোরে এলাকায় এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়। তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে। এবং কিশোরীর বয়ান রেকর্ড করার পরেই অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি আদতে ঘটেছে শুক্রবার। কিশোরী তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। সেখানেই এক মেলায় আত্মীয়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল সে। অভিযুক্ত এক যুবকের সঙ্গে সেই মেলাতেই আলাপ হয় কিশোরীর। গল্প করার অজুহাতে কিশোরীকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় ওই অভিযুক্ত যুবক। সেখানেই তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় যুবকের আরও তিন বন্ধু।
নির্জন এলাকায় এরপর চারজনে মিলে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। কোনও মতে বাড়ি ফিরেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বিষয়ে জানায় কিশোরী। তড়িঘড়ি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবার। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল বিহারে। পরিচিত দাদা ডেকে নিয়ে গিয়েছিল কথা বলার জন্য। কথা বলার সময় নাবালিকাকে পানীয় খেতে দেয়। তারপরেই ভয়াবহ ঘটনা। পরিচিত দাদা ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করল নাবালিকাকে। সারারাত সেই অবস্থাতেই পড়েছিল ওই নাবালিকা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের খাগারিয়া জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছর বয়সি নাবালিকাকে নেশাদ্রব্য মেশানো পানীয় খাইয়ে অচৈতন্য করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর গণধর্ষণ করা হয়। ছয়জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা বর্তমানে পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে জানানো হয়েছে, মূল অভিযুক্ত নাবালিকার পরিচিত। ঘটনার দিন ওই অভিযুক্ত যুবক নাবালিকার সঙ্গে কথা বলার অজুহাতে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। এরপর মোটরসাইকেলে করে নাবালিকাকে নিয়ে যায় নির্জন এলাকায়। সেখানে পৌঁছনোর পর মূল অভিযুক্ত ও তার পাঁচ বন্ধু মিলে নাবালিকাকে পানীয় খেতে দেয়। সেই পানীয়তে মেশানো ছিল নেশাদ্রব্য।
মাদক মেশানো পানীয় খেয়েই অচৈতন্য অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে নাবালিকা। তারপরেই গণধর্ষণ করা হয়। সেই অবস্থাতেই নাবালিকাকে ওই নির্জন এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সারারাত সেই অবস্থাতেই পড়েছিল সে। সকালে জ্ঞান ফেরার পর কোনও মতে বাড়িতে ছুটে পালিয়ে আসে সে। এরপর পরিবারের সদস্যদের ভয়াবহ ঘটনাটি জানায়। তড়িঘড়ি করে থানায় ছুটে যায় নির্যাতিতার পরিবার।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।