• এইচ-১ ভিসা থেকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি, রবিবারই জাতির উদ্দেশে ভাষণে জবাব দেবেন মোদি?
    আজকাল | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মার্কিন মুলুকের একের পর এক সিদ্ধান্তে শোরগোল। অন্যদিকে দেশের নয়া জিএসটি নিয়ম, যা চালু হতে চলেছে আগামিকাল থেকে। তার মাঝেই রবিবার সকালে জানা গেল, এদিন বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, রবিবার বিকেল পাঁচটায় তিনি ভাষণ দেবেন জাতির উদ্দেশে। কিন্তু কী বিষয়ে কথা বলবেন বিশেষ ভাষণে, তা জানা যায়নি এখনও। 

    তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও বারেবারে তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন।  ২০১৪ সালে দেশের সর্বোচ্চ নির্বাহী পদ গ্রহণের পর থেকে, নানা সময়ে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। যেমন-

     ৮ নভেম্বর, ২০১৬। তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেন।

     ১২ মার্চ, ২০১৯। প্রধানমন্ত্রী পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলার পর বালাকোটে বিমান হামলার ঘোষণা করেন।

    ২৪ মার্চ, ২০২০। জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে কোভিড-১৯ অতিমারী নিয়ন্ত্রণে তিন সপ্তাহের দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেন।

    ১৪ এপ্রিল, ২০২০। তিনি আবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা করেন।

    মে মাসে, তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলেন যে, সরকার লকডাউন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন ২০২৫ সালের ১২ মে, অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে দেশবাসীর কাছে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

    তবে ওয়াকিবহাল মহলের মত, জিএসটি ২.০ ধার্য হওয়ার ঠিক আগের দিন এই ভাষণ যেহেতু, তাই বড় অংশ থাকতে পারে ওই বিষয়েই। এর আগে, ১৫ আগস্টের মঞ্চ থেকে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এই দিওয়ালিতে, আপনাদের দ্বিগুন-দিওয়ালির কাজ করব আমি। এই দিওয়ালিতে দেশবাসীকে বড় উপহার মিলবে।' তারপরেই বলেন, 'গত আট বছরে আমরা জিএসটির বড় সংস্কার করেছি। গোটা দেশে ট্যাক্স কম করেছি, ট্যাক্স নীতি ব্যবস্থাকে সরল করেছি। আট বছর পর, সময়ের দাবি মেনেই এবার রিভিউ। আমারা হাই-পাওয়ার কমিটি দিয়ে রিভিউ করিয়েছি। রাজ্যগুলির সঙ্গে আলচনা করেছি। আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য জিএসটি সংস্কার আনতে চলেছি। এই দিওয়ালির মধ্যেই তা দেশবাসীর জন্য উপহার হয়ে আসবে। করের হার অনেকটাই কমে যাবে। বিশেষ উপকৃত হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প।'  

    মোদির ঘোষণার পরেই, ৩ সেপ্টেম্বর জানা যায়,  জিএসটি কাউন্সিল ৫ এবং ১৮% এর দ্বি-স্তরের হার কাঠামো অনুমোদন করেছে, যা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকরী হবে। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, সমস্ত রাজ্য হার যৌক্তিকীকরণের পক্ষে ছিল এবং এটি একটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্ত।  এই মুহূর্তে ভারতে দ্রব্যাদির উপর মোট চারটি ভাগে জিএসটি কার্যকর।  ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশ। বুধবার সন্ধেয় জানা গেল,  জিএসটি কাউন্সিল ৫ এবং ১৮% এর দ্বি-স্তরের হার কাঠামো অনুমোদন করেছে, যা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকরী হবে। জানা গিয়েছে, জীবনবীমা এবং স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি মুকুব করা হবে নয়া কর কাঠামোয়। 
  • Link to this news (আজকাল)