বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ভোট চুরির অভিযোগ তো ছিলই, জল গড়াল আদালত পর্যন্ত। দিল্লি বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ডুসু-র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ছাত্রদের কাছে প্রচারের জন্য দামি গাড়ি কীভাবে এল জানতে চেয়ে উষ্মাপ্রকাশ করল দিল্লি হাই কোর্ট। পাশাপাশি আদালতের পক্ষ থেকে ডুসু-র নবনির্বাচিত সভাপতি আর্যান মান এবং নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা লঙ্ঘন করার জন্য জবাব চাওয়া হয়েছে। নির্বাচনের জন্য যে সমস্ত আদেশ, নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা মানা হয়নি বলেই মনে করছে আদালত।
নির্বাচনী প্রচারের সময় বেন্টলি, রোলস রয়েসের মতো বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার নিয়ে দিল্লি হাই কোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি দেবেন্দ্র কুমার উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেদেলার একটি বেঞ্চ মন্তব্য করেছে যে প্রার্থী বা আয়োজকরা কেউই গত বছরের আদালতের আদেশ থেকে শিক্ষা নেননি, যা জনসাধারণের সম্পত্তির অবক্ষয়ের জন্য নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করেছিল।
এ প্রসঙ্গে বেঞ্চের তরফ থেকে বলা হয়েছে, “ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনে এই ধরণের প্রচারের চেয়ে খারাপ আর কী হতে পারে। জেসিবি, বড় এবং বিলাসবহুল গাড়ি, চার চাকার গাড়ির ব্যবহার, এটা অজানা। তারা কোথা থেকে এত বড় গাড়ি পায়-বেন্টলি, রোলস রয়েস এবং ফেরারি? ছাত্ররা কীভাবে এগুলো পাচ্ছে? আমরা এই গাড়িগুলির নামও শুনিনি।” নির্বাচনী নির্দেশিকা লঙ্ঘন নিয়েও রীতিমত উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। বেঞ্চের বক্তব্য, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, আমাদের সমাজের গণতান্ত্রিক কার্যকারিতার জন্য একটি দুঃখজনক ঘটনা, এখানকার প্রতিষ্ঠানগুলির গণতান্ত্রিক কার্যকারিতার উপর একটি দুঃখজনক ঘটনা।”