আগরতলা: শনিবার ত্রিপুরার গোমতী জেলায় এক মহিলার অর্ধদগ্ধ দেহ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার পরেই মহিলার স্বামী অভিযোগ করেছেন যে, স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের সহযোগীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। এর পরেই তিনি অপমানে আত্মহত্যা করেছেন। অভিযোগকারী এবং তাঁর মৃতা স্ত্রীও বিজেপি সদস্য বলেই জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়। মুখ খুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ জনকে। পাশাপাশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে এক পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
দেশের একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে মহিলাদের উপর আক্রমণ, যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তার মধ্যেই ত্রিপুরায় ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা। কাকরাবান থানা এলাকার মির্জায় শনিবার সকালে মহিলার অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। উদয়পুরের এসডিপিও দেবাঞ্জলি রায় জানিয়েছেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে, আমরা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছি। পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের সময় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিএনএসের অধীনে আরও ধারা যুক্ত করা হবে।”
মহিলার স্বামী অভিযোগ করেছেন যে, শুক্রবার রাতে বিজেপির কাকরাবান-শালগড়ের বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদারের ভাগ্নে মান্না মজুমদার-সহ তিন ব্যক্তি তাঁকে এবং তার স্ত্রীকে প্রচণ্ড লাঞ্ছনা করেন। তাঁরা থানায় যান অভিযোগ জানাতে। কিন্তু পুলিশ তাঁদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। তাঁর অভিযোগ, “আমরা বাড়ি ফিরে এসে আলাদা ঘুমাতে যাই, যেমনটা আমরা প্রায়ই করি। আজ সকালে আমার স্ত্রীর আধপোড়া দেহ পাশের একটি রাস্তায় পাওয়া গিয়েছে। মান্না মজুমদার এবং তার দুই সঙ্গী আমার স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ী।”
বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বিরোধী কংগ্রেস এই ঘটনা নিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে অভিযোগ করেছে যে, তারা অভিযুক্তদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি টিটান পাল বলেন, “প্রথমত, পুলিশ তাঁদের অভিযোগ নথিভুক্ত করেনি। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হল, থানা থেকে ফেরার সময় অভিযুক্তরা ওই দম্পতিকে ধাওয়া করে। মনে হচ্ছে পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে, ওই দম্পতি এলাকায় বিজেপি সদস্য হিসাবে পরিচিত ছিলেন।