তর্পণ করতে এসে দুই লাখ টাকার সোনার হার হারালেন বৃদ্ধা! চাঞ্চল্য চুঁচুড়ায়
প্রতিদিন | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সুমন করাতি, হুগলি: রবিবার মহালয়া। সকাল থেকেই গঙ্গার সব ঘাটে ভিড়। এই ভিড়ের মাঝেই দুই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় তর্পণের ঘাটে দু’ভরি সোনার হার খোয়ালেন বৃদ্ধা। অন্যদিকে, তর্পণের পরে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়া একজনকে উদ্ধার করেছে পুরসভার কর্মীরা।
তর্পণ করতে সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাটগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। চুঁচুড়ার ময়ূরপঙ্খী ঘাটে সেই ভিড়ের মধ্যেই স্নান করতে এসেছিলেন বিপাশা সাহা। তাঁর বাড়ি চুঁচুড়া পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসডাঙ্গায়। গঙ্গাস্নান করে ঘাটের পাশেই একটি মিষ্টির দোকান থেকে মিষ্টি কিনছিলেন তিনি। সেই সময়ে হঠাৎ তাঁর খেয়াল হয় গলায় নেই সোনার হার। তর্পণে আসার সময় গলায় পড়ে ছিলেন দু’ভরি ওজনের একটি সোনার হার। স্নানের পরেই আর সেই হারের খোঁজ নেই।
ওই বৃদ্ধার সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী বিমল সাহা। তাঁকে বিষয়টি জানান বিপাশা। তাঁরা দ্রুত ফিরে আসেন গঙ্গার ঘাটে। এসেই পুলিশকর্মীদের কাছে হার খোয়া যাওয়ার বিষয়টি জানান ওই দম্পতি। পুলিশকর্মীরা তাঁদের থানায় গিয়ে ডায়রি করার পরামর্শ দেন। বৃদ্ধা বলেন, বাড়িতে রেখে আসতে ভুলে যাওয়ায় সোনার হার পড়েই তর্পনে এসেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, “প্রতিবছর মহালয়ার দিন এই ঘাটে স্নান করি। গঙ্গায় যখন স্নান করার সময়ও ছিল হারটি।” দুই লক্ষাধিক টাকার হার খুইয়ে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধা।
অন্যদিকে, রবিবার সকালে গঙ্গার ঘাটে তর্পণ করতে এসে তলিয়ে যাচ্ছিলেন একজন। তৎপরতার সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করেন ঘাটে থাকা পুরকর্মীরা। এই দুই ঘটনার পরেই পুরসভার পক্ষ থেকে মাইক প্রচার করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়। পাশাপাশি গয়না পড়ে গঙ্গায় স্নান করতে নামতেও নিষেধ করা হয়। চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি অলকানন্দা ভাওয়াল এবং চুঁচুড়ার আইসি রামেশ্বর ওঝা গঙ্গার ঘাটগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন।