• যৌন হেনস্তার পর পালিয়ে মাঝসমুদ্রে অভিযুক্ত! জেলের ছদ্মবেশে পাকড়াও করল পুলিশ
    প্রতিদিন | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সুবীর দাস, কল্যাণী: এ এক অদ্ভুত চোর-পুলিশ খেলা! কুকীর্তি ঘটিয়ে গা ঢাকা দিতে সোজা মাঝসমুদ্রে মাছ ধরতে চলে গিয়েছিল অভিযুক্ত। কিন্তু কথাতেই তো আছে, ‘বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা/ পুলিশ ছুঁলে ছত্রিশ’। মাঝসমুদ্রের গা ঢাকা দিয়েও শেষরক্ষা হল হল না। সেখানে পুলিশের ‘ছত্রিশ ঘা’ খেতেই হল অভিযুক্তকে। দীর্ঘদিন পর জেলের ছ্দ্মবেশে নাবালিকাকে যৌন হেনস্তায় অভিযুক্ত রানাঘাটের ওই যুবককে পাকড়াও করল পুলিশের একটি দল। এই গ্রেপ্তারি রাজ্য পুলিশের বড়সড় সাফল্য বলে দাবি।

    পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার মামলাটি ২০২৪ সালের। রানাঘাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত হরিণঘাটা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পকসো মামলায় অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু তারপর থেকেই সে পলাতক ছিল। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, সে ক্রমশ স্থান বদল করে আত্মগোপন করছে এবং অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে সে। একসময় প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তার অবস্থান জানতে পারেন তদন্তকারীরা। নামখানা-কাকদ্বীপ এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর মেলে।

    অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে দিন কয়েক আগে রানাঘাট পুলিশ জেলার একটি বিশেষ দল তৎক্ষণাৎ কাকদ্বীপ রওনা দেয়। স্থানীয় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর জানা যায় অভিযুক্ত মাছ ধরার একটি নৌকায় উঠে একেবারে মাঝসমুদ্রে পৌঁছে গিয়েছে। মৎস্যজীবীর ছদ্মবেশে অন্যান্য জেলেদের সঙ্গে সেখানে দিন সাতেক ধরে থেকেছে।

    এসব জেনে পুলিশও পালটা কৌশল নেয়। তদন্তকারী আধিকারিকরাও মৎস্যজীবীর ছদ্মবেশ ধারণ করেন। এরপর সেই নৌকাটিকে চিহ্নিত করে তাতে উঠে পড়েন। সমুদ্রপথে প্রায় ১০ কিলোমিটার চলেও যান। এরপর সকলের মধ্যে মিশে কথা বলতে বলতে অভিযুক্তকে সনাক্ত করার পর আর সময় নষ্ট করেননি। মাঝসমুদ্রেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। নিয়ে আসা হয় রানাঘাটে। আদালতে পেশ করা হবে। সমুদ্রে এমন অপারেশন চালিয়ে গ্রেপ্তারি নিঃসন্দেহে রানাঘাট জেলা পুলিশের অনন্য কৃতিত্ব, প্রশংসায় মুখর পুলিশ মহল থেকে আমজনতাও।
  • Link to this news (প্রতিদিন)