• তিনতলা থেকে পড়েও প্রাণে বাঁচলেন যুবক, ঠিক সময়ে 'ক্যাচ' ধরে নায়ক 'স্কুটি'! ভাইরাল ভিডিও
    আজকাল | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বারান্দায় রাখা কাপড়ের গোছা সরাচ্ছিলেন। পিছন দিকে সরতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। তিনতলার বারান্দা থেকে টাল সামলাতে না পেরে সোজা নীচে পড়ে গেলেন এক যুবক। তবে বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। নীচে দাঁড় করানো একটি স্কুটির উপর পড়ায় তাঁর গুরুতর আঘাত লাগেনি। রাজস্থানের যোধপুরের এই শিউরে ওঠার মতো ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় শুরু হয়েছে।

    গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ২৫ বছর বয়সি ওই যুবকের নাম নাজির, তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ভাইরাল হওয়া ১০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, নাজির একটি বাড়ির তিনতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন। হাতে একটি জলের বোতল নিয়ে তিনি পিছন দিকে হাঁটতে হাঁটতে কাপড়ের একটি ঝোলা পরীক্ষা করছিলেন। সম্ভবত তিনি ভেবেছিলেন পিছনে রেলিং বা পাঁচিল রয়েছে। কিন্তু মুহূর্তের অসতর্কতায় তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং ঝুলবারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান।

    নীচে রাস্তার ধারে দাঁড় করানো ছিল একটি স্কুটি। নাজির সরাসরি তার উপর পড়েন। স্কুটিটি কার্যত ‘কুশন’-এর কাজ করে। ফলে পতনের অভিঘাত অনেকটাই কমে যায়। এই কারণেই প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে তাঁর পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে এবং হাড় ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি পড়ার পরেই দু'জন ব্যক্তি ছুটে এসে তাঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। যে বারান্দা থেকে তিনি পড়েছিলেন, সেখানে একটি ছোট ঘর রয়েছে, যেটি গুদাম হিসাবে ব্যবহৃত হত। সেখানে পোশাকের একাধিক ঝোলা মজুত ছিল। সেগুলোই পরীক্ষার কাজ করতেন যুবক।

    এই ঘটনার পর থেকেই পুরনো বাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিশেষত, ওই বারান্দার রেলিং বা পাঁচিলটি অত্যন্ত নিচু ছিল বলে অভিযোগ। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই নেটমাধ্যমে বাড়িনির্মাতার গাফিলতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। 

    এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) এক জন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “কোন আক্কেলে এমন বিপজ্জনক বারান্দা বানানো হল, যেখানে কোনও সেফটি গ্রিল নেই? নির্মাতাকে অবিলম্বে জেলে পাঠানো উচিত।”

    অন্য এক জনের মতে, এর পিছনে দুর্নীতিও থাকতে পারে। তিনি কটাক্ষ করে লেখেন, “যে সরকারি আধিকারিক ৫০০ টাকা ঘুষ নিয়ে এই দোকানের লাইসেন্স দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা করা উচিত।”

    অনেকেরই মত, ওখানে এমন ঘটনা ঘটা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। এক নেটাগরিক মন্তব্য করেছেন, “একটি শিশুও তো ওখান থেকে পড়ে যেতে পারত। হতে পারে, কাপড়ের গাঁটরি ওঠানো-নামানোর সুবিধার জন্যই দেওয়ালটি ইচ্ছাকৃতভাবে নিচু করে রাখা হয়েছিল।” সব মিলিয়ে, এই বিপজ্জনক নির্মাণ নিয়ে নির্মাতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ।
  • Link to this news (আজকাল)