প্রেমিক খুন! দায় নিতে না পেরে মানসিক চাপে যা করলেন প্রেমিকা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও ...
আজকাল | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেম-কে কেন্দ্র করে পরপর দুটি মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল দেশ। উত্তরপ্রদেশে প্রেমিকের খুনের ঠিক একদিনের মাথায় আত্মঘাতী হলেন প্রেমিকা। অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের বুকে ছুরি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকার বিরুদ্ধে। দুটি ঘটনাতেই চলে গেল তিনটি প্রাণ। এই ঘটনাগুলি আজকের যুগের সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং তার হিংসাত্মক পরিণতিকে সামনে নিয়ে এল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহারানপুরে যুগলের মর্মান্তিক পরিণতি ঘটে। উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের এই ঘটনাটি রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেলার চিলকানা এলাকার বাসিন্দা অঙ্কিতা (১৮) নামে এক তরুণী শনিবার নিজের বাড়িতেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন। তাঁর দেহের পাশ থেকে একটি কীটনাশকের খালি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সাগর জৈন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই ঘটনার ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার, অঙ্কিতার ২২ বছর বয়সি প্রেমিক মহিলকে খুন করা হয়েছিল। মহিলের পরিবারের অভিযোগের আঙুল ছিল অঙ্কিতার পরিবারের দিকেই। তাঁদের দাবি, অঙ্কিতার বাড়ির লোকেরাই এই খুনের পিছনে দায়ী। এই অভিযোগে তাঁরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভও দেখান। প্রেমিকের মৃত্যুর শোক এবং পরিবারের উপর ওঠা অভিযোগের চাপ সহ্য করতে না পেরেই অঙ্কিতা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাগর জৈন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অঙ্কিতার দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। তারা এখনও তরুণ। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রেমিকের খুনের পর প্রেমিকার এই আত্মহত্যার ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অন্যদিকে বিয়ের বিবাদে প্রেমিককে ছুরির কোপ ঝাড়খণ্ডে।উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঝাড়খণ্ড থেকেও সামনে এল এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা। রাজ্যের চাতরা জেলায় বিয়ের প্রস্তাবে মতবিরোধ হওয়ায় প্রেমিকের বুকে ছুরি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই প্রেমিকার বিরুদ্ধে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার সাসাং গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ মুন্তাজির (৩৪) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর প্রেমিকা শাব্বু পারভিন ওরফে নূরজাহান (২৪)-এর সঙ্গে দেখা করতে যান। নূরজাহান চাতরা জেলার লাওয়ালং থানা এলাকার লামটা গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, সেখানে পৌঁছনোর পর তাঁদের মধ্যে বিয়ে নিয়ে তীব্র বচসা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির মধ্যেই আচমকা নূরজাহান একটি ছুরি দিয়ে মুন্তাজিরের বুকে আঘাত করেন।
গুরুতর জখম অবস্থায় মুন্তাজিরকে প্রথমে চাতরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাঁচির রিমস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
লাওয়ালং থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রশান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, “মৃত্যুর আগে মুন্তাজির একটি বয়ান দিয়ে গিয়েছেন, যার ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই বয়ানের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত নূরজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি খুনে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।