নচিকেতাকে খাওয়াদাওয়ার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! গায়কের পাল্টা, ‘উনি তো পুরো একটা শক্তিকেন্দ্র!’
আনন্দবাজার | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হলেই খাওয়াদাওয়ার পরামর্শ দেন। রোজের খাবারের তালিকায় কী কী রাখতে হবে, সব বলে দেন তিনি। জানালেন নচিকেতা চক্রবর্তী।
শনিবার একটি দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চে ছিলেন গায়ক নচিকেতাও। তখন গায়ককে প্রায় কড়া গলায় ভাল করে খাওয়াদাওয়া করার পরামর্শ দেন তিনি। কেন এত রোগা হয়ে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। আনন্দবাজার ডট কম-কে নচিকেতা জানান, তিনি মোটেই খাদ্যরসিক নন। খেতে তেমন ভালই লাগে না। নচিকেতা বলেন, “অনেক কিছু খেতে বলেছেন উনি। বিশেষত কিউই ও ব্লু-বেরি বেশি করে খেতে বলেছেন।”
গায়ক নিরামিষাশী। এ দিকে মুখ্যমন্ত্রী বার বার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে বলেছেন তাঁকে। গায়ক বলেছেন, “আমার খাওয়া বলতে আলুপোস্ত। ওটাই আমি খাই। পশুজাত প্রোটিন আমি খাই না। কিউয়ি আর ব্লু-বেরি খাওয়া যেতে পারে। তা ছাড়া, ডালে তো প্রোটিন আছেই। আসলে তিনি চান, আমি বেশিদিন গানটা যাতে গাইতে পারি।”
মুখ্যমন্ত্রী নিজেও রোগা হয়েছেন। ওজনও কমেছে অনেকটাই। তবে এই কথা সরাসরি তাঁকে কেউ বলতে পারেন না। হাসতে হাসতে জানান নচিকেতা। তিনি বলেন, “আমি যদিও রোজ ওঁকে বলি। তবে এত সুস্থ মানুষ আমি দেখিনি। ভিতর থেকে খুব সুস্থ তিনি। দিনে একটা মানুষ যদি ২০ কিলোমিটার হাঁটতে পারেন, তাঁকে আর কী বলব! ওঁর কোনও ডায়েটিশিয়ানের দরকার পড়ে না। একাই একশো! শক্তিকেন্দ্র একটা পুরো। ওঁর মতো পরিশ্রম কেউ করতে পারবে না।”
বাইরে থেকে ওজন কমলেও ভিতর থেকে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ। রসিকতা করেই নচিকেতা বলেন, “বাইরে থেকে রোগা। কিন্তু ভিতর থেকে দারোগা!”
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন নচিকেতা। তখনও দেখেছেন, খুব স্বল্পাহারী মুখ্যমন্ত্রী। গায়ক বলছেন, “ওঁর মধ্যে মাতৃত্বসুলভ একটা ব্যাপার রয়েছে। আমরা তো সরাসরি রাজনীতির মানুষ নই। কিন্তু তাও আমাদের সম্মান দিয়েছেন। তাই ওঁর প্রতি আমি পক্ষপাতী। বাবা-মা বা পরিবারের প্রতি আমরা যেমন পক্ষপাতী, তেমনই আমি ওঁর প্রতি পক্ষপাতী। সঙ্গীতের প্রতি ওঁর ধারণাও চমৎকার। আগের সরকার তো এই ভাবে ভাবেনি। আমাদের মানুষ বলেই ভাবা হত না। আমাদের কাজ ছিল শুধু লোক জড়ো করা।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র সাত মিনিটে মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন বলে জানান। পাশাপাশি এও জানান, স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ মেনে চলার চেষ্টা করবেন তিনি।