• ‘ভারতকে কী বলে থামিয়েছি জানেন? বিশ্বের সাতটি যুদ্ধ বন্ধ করেছি!’ সাতটি নোবেল তাঁর প্রাপ্য বলে দাবি করলেন ট্রাম্প
    আনন্দবাজার | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • এই নিয়ে কত বার দাবি করলেন হিসাব করা হয়নি। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার দাবি করলেন, ভারত-পাক যুদ্ধ থামিয়েছেন তিনিই। শুধু ভারত-পাকিস্তানই নয়, বিশ্বে সাত-সাতটি বড় যুদ্ধ থেমেছে তাঁর জন্য! প্রতিটির জন্য একটি করে নোবেল শান্তি পুরস্কার তাঁর প্রাপ্য।

    শনিবার আমেরিকান কর্নারস্টোন ইনস্টিটিউটের ফাউন্ডার্স নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি জানান, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থেমেছে তাঁর মধ্যস্থতাতেই। ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমরা শান্তি চুক্তি করাচ্ছি। যুদ্ধ থামাচ্ছি। এই ভারত-পাকিস্তানের কথাই ভাবুন। জানেন কী ভাবে তাদের যুদ্ধ থামিয়েছি? বাণিজ্যচুক্তির মাধ্যমে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ভারতের ক্ষেত্রে বলেছিলাম, যুদ্ধ না থামালে আমরা কিন্তু বাণিজ্য করব না। ওরা থেমে গেল। ওরা বাণিজ্য চেয়েছিল। আর দুই দেশের নেতাকেই (প্রধানমন্ত্রী) আমি সম্মান করি। কিন্তু যদি আপনি ওই পরিস্থিতিগুলির দিকে খেয়াল করেন, দেখবেন সমস্ত যুদ্ধই আমরা থামিয়েছি।’’

    ট্রাম্পের দাবি, ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও তাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া, আর্মেনিয়া-আজ়ারবাইজান, কোসোভো-সার্বিয়া, ইজ়রায়েল-ইরান, মিশর-ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা-কঙ্গোর যুদ্ধ থামিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁর আমলে এমন সব কাজ হচ্ছে, যার ফলে বিশ্বমঞ্চে আমেরিকা আবার পুরনো জায়গা ফিরে পেয়েছে।

    ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামাতে ঠিক কী বলেছিলেন? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘ভারতকে যেমন বলেছিলাম, দেখো, যদি তোমরা যুদ্ধ করতে যাও, আমরা আর তোমাদের সঙ্গে বাণিজ্য করব না। ওদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্রও আছে। ব্যস! ওরা থেমে গিয়েছে।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁকে বলা হয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামতে পারলেই তিনি নোবেলের অন্যতম দাবিদার। কিন্তু যুদ্ধ তো থামেনি! ট্রাম্প বলেন, ‘‘ঠিক আছে। কিন্তু বাকি সাতটা যুদ্ধের বিষয়ে কী বলবেন? প্রত্যেকটা যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার জন্য তো আমার একটা করে নোবেল পাওয়া উচিত।’’ দৃঢ় কণ্ঠে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি ভেবেছিলেন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দেবেন। কারণ, পুতিনের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক।

    উল্লেখ্য, গত ৬ বছরে বেশ কয়েক বার ট্রাম্প দাবি করেছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার তাঁরই পাওয়া উচিত। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি জানিয়েছিলেন, জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের সঙ্গে তাঁদের শীর্ষ সম্মেলনের পর তাঁকে নোবেলের জন্য মনোনীত করেছিলেন। ২০১৮ সালে ওই দুই দেশ বসেছিল পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে। আবার আক্ষেপের সুরে ট্রাম্প জানান, নোবেল হয়তো তিনি কখনও পাবেন না। কারণ, তিনি মনেপ্রাণে দক্ষিণপন্থী নেতা।

    কিন্তু পরের বছর অর্থাৎ, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলির পরিবর্তে নোবেল তাঁর জেতা উচিত ছিল। চার বছর পর ২০২৪ সালে দ্বিতীয় নির্বাচনী জয়ের আগে ডেট্রয়েটে একটি সমাবেশে তিনি বলেন, ‘‘যদি আমাকে ওবামা বলা হত, তা-হলে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আমিই নোবেল পুরস্কার পেতাম।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)