দক্ষিণ দিনাজপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে বৈঠকে এক মঞ্চে তৃণমূল নেতারা
বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: মহালয়ার পূণ্যতিথিতে জেলা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী মিলে গেল দলীয় বৈঠকে। দেবীপক্ষের সূচনাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী কাছাকাছি চলে আসায় স্বস্তি দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। রবিবার জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়ালের ডাকে জেলার ছোট-মাঝারি-বড় নেতাদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক হয়। বৈঠকে বিপ্লব গোষ্ঠীর নেতারা যেমন ছিলেন, তেমনি বিপ্লব বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত গৌতম দাস ও অম্বরীশ সরকারেরাও ছিলেন। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে প্রথম সারিতে বসে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিলেন তাঁরা। বিধানসভা ভোটের আগে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একজোটে উজ্জীবিত ঘাসফুল শিবির।
সম্প্রতি কলকাতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন। তারই ফল দেখা গেল মহালয়ার পূণ্যলগ্নের বৈঠকে। সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে কুমারগঞ্জের একটি মাদ্রাসা নির্বাচনকে ঘিরে দলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়া প্রকাশ্যে আসায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব। জেলায় বিপ্লব ও বিপ্লব বিরোধী গোষ্ঠী বরাবর সমান্তরালভাবে কর্মসূচি নিত। বিরোধী গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে বিপ্লবকে গরম গরম কথা বলতেও শোনা যায়। এদিনের বৈঠকে সবাইকে একসঙ্গে দেখে খুশি দলের নেতাকর্মীরা। জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, আজ জেলার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সকলে সংঘবদ্ধ হওয়ায় আমরা খুশি। বিধানসভায় ভালো কিছু করতে হলে আমাদের ঐকবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। এদিনের বৈঠকে এসআইআর নিয়েও নেতৃত্বদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়। রাজ্যে এসআইআর লাগু হলে দলীয়ভাবে বিষয়টি নজরদারিরও নির্দেশ দেওয়া হয় নেতাদের।উৎসবকে সামনে রেখে জেলা, ব্লক ও টাউনে বিজয়া সম্মিলনী যাতে খুব ভালোভাবে করা হয়, সেদিকে নেতাদের বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলে জেলা নেতৃত্ব।
জেলার নেতারা জানিয়েছেন, আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে বিজয়া সম্মিলনী শেষ করতে হবে। বিজয়া সম্মিলনীতে রাজ্য নেতৃত্ব হাজির থাকার সম্ভাবনা।
দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক গৌতম দাস বলেন, জেলা সভাপতি সুভাষবাবু আমাকে এদিনের বৈঠকে থাকার কথা বলেন। সকলকে যোগ্য সম্মান দেওয়ার কথাই আমরা বলে আসছিলাম। জেলা কমিটি এখনও হয়নি। আগামীতে হয়তো বাকি নেতাদেরও বৈঠকে দেখা যাবে, যাঁরা আজ আসেনি। এই ঐক্য বুথ লেবেল পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। - নিজস্ব চিত্র