মহালয়ার ভোরে পিতৃপক্ষের অবসানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষের। পুজো মণ্ডপগুলিতে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে প্রতিটি পুজো মণ্ডপ। পিছিয়ে নেই হেমতাবাদ প্রতিবাদ ক্লাবের পুজো মণ্ডপও। এই পুজোর থিম ‘পটচিত্রে নারীর কথা’। কালিয়াগঞ্জের শিল্পী পটচিত্রের মাধ্যমে নারীদের কথা তুলে ধরেছেন পুজো মণ্ডপে। আলো ও শব্দে সাজিয়ে পূর্ণতা দেওয়া হচ্ছে শিল্পীর ভাবনাকে।
পুজো কমিটির সদস্য কৌশিক দাস বলেন, এবারে আমাদের পুজো ৫৬ তম বর্ষে পা দিল। নারীদের সম্মান জানাতে এবং নারী শক্তিকে জাগিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই থিম নির্বাচন। বাঁশ, কুলো, বেত, কাপড় দিয়ে পুজো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। মণ্ডপ জুড়ে থাকছে বিভিন্ন কাজে দক্ষ মহিলাদের ছবি।
কৌশিকের সংযোজন, সমাজে মহিলারা ছেলেদের থেকে যে কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই, সেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে। দর্শনার্থীরা আমাদের পুজো মণ্ডপে ঢুকলেই তা দেখতে পাবেন। পুজোয় তিনদিন নানা সামাজিক কর্মসূচি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
পুজো কমিটির সম্পাদক রাজেশ সেন বলেন, আমাদের পুজো প্রতিবছর জেলার মানুষের নজর কাড়ে। নতুন কিছু ভাবনা ও সমাজ সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয় আমাদের পুজোর মাধ্যমে। বিগত বছরগুলিতে আমাদের থিম পুরস্কৃত হয়েছে। আশা করছি, আমাদের এবারের ভাবনা ও মণ্ডপসজ্জা জেলার মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলবে।
পুজো কমিটি সদস্যদের বক্তব্য, বর্তমানে নারীরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে মহাকাশ অভিযান- সব জায়গায় এগিয়ে। কোনও কোনও জায়গায় পুরুষদের থেকেও এগিয়ে মা-বোনেরা। পটচিত্রে সেই নারীর কথা তুলে ধরা হবে পুজো মণ্ডপে। পুজোর দিনগুলিতে বস্ত্র বিতরণ, ফল বিতরণ সহ অন্যান্য সমাজসেবামূলক কর্মসূচি করে এই ক্লাব।