• দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টা মাদকাসক্তের, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: কয়েকবছর ধরেই মাদকাসক্ত শিলিগুড়ি শহরের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনতানগরের যুবক দেবাশিস মণ্ডল ওরফে দেবু। বেশ কয়েকবার নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেও কোনও কাজ হয়নি। দিনভর টোটো চালিয়ে রোজগার করা টাকা দিয়ে গাঁজা, মদ থেকে শুরু করে একাধিক মাদক সামগ্রী গ্রহণ করা তার নিত্যদিনের রুটিন। মহালয়ার দিন প্রকাশ্যেই নেশার ঘোরে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে শ্রীঘরে গেল দেবাশিস। তার কর্মকাণ্ড দেখে দ্রুত স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন। রবিবার সকালে দেবাশিস ঘটনাটি ঘটায় তার বাড়ি ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের জনতানগরেই। 

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকারই বাসিন্দা প্রাণবল্লভ সরকার তাঁর বাড়ির নীচতলায় একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধের দোকান খুলেছেন। বেশ কয়েক মাস ধরে সেই দোকান ভালোই চলছে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সকালে দোকান খোলেন প্রাণবল্লভবাবু। সেই সময় টোটো নিয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় দোকানের সামনের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল দেবাশিস। আচমকাই নেশার ঘোরে হাতে অস্ত্র নিয়ে ওই দোকানে ঢুকে যায় সে। প্রাণবল্লভবাবুকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে। দোকান লণ্ডভণ্ড করে। ফেলে দেয় সমস্ত ওষুধের বোতল। প্রাণভয়ে চিৎকার করতে থাকেন প্রাণবল্লভবাবু। এরপরই স্থানীয়রা এবং আশেপাশের দোকানদাররা দ্রুত সেখানে পৌঁছে কোনওমতে ওই ব্যবসায়ীকে দেবু মণ্ডলের হাত থেকে রক্ষা করেন। এরপরই তাকে ধরে উত্তমমধ্যম দিয়ে ভক্তিনগর থানার পুলিশকে খবর দেন। পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলার প্রীতিকণা বিশ্বাসকেও জানানো হয়। 

    পুলিশ এসে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। কাউন্সিলার এসে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য পুলিশকে আবেদন করেন। যদিও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টার কারণে প্রাণবল্লভবাবু হাতে সামান্য চোট পান। তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর  ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও এমন কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় খোদ ব্যবসায়ীও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভক্তিনগর থানা। 

    শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি রাকেশ সিং বলেন, এক ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। কাউন্সিলার প্রীতিকণা বিশ্বাস বলেন, যতদূর শেনেছি ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেবু মণ্ডলের কোনও শত্রুতা ছিল না। তারপরেও কেন এমন ঘটনা ছেলেটি ঘটাল, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পুলিশ নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখবে। ব্যবসায়ী প্রাণবল্লভ সরকার জানান, ছেলেটিকে তিনিও চেনেন। কিন্তু আচমকাই কেন ছেলেটি দোকানে ঢুকে তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা করতে এল তিনিও বুঝতে পারছেন না। 
  • Link to this news (বর্তমান)