• ভোর থেকে ঘাটে ঘাটে তর্পণ , বহু পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন মমতার
    বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: ভোরে তর্পণ। বিকেলে পুজোর উদ্বোধন। সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। দেবীপক্ষের প্রথম দিন রবিবার এভাবেই কাটাল উত্তরবঙ্গ। এদিন কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলের ৬২টি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরমধ্যেই সূচনা হল বাঙালির মেগা উৎসব দুর্গাপুজোর কাউন্ট-ডাউনের। পুজো উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা, এবার পুজোর চার দিন উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় হবে।

    রবিবার ভোরে শহরের মাইকে মহালয়া সম্প্রচার করে শিলিগুড়ি পুরসভা। পাড়ায় পাড়ায় বাজিও ফাটানো হয়। সেই সঙ্গে মহানন্দা নদীর লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাট, নৌকাঘাট, পার্বতী ঘাট, বালাসন, চামটা প্রভৃতি নদীতে তর্পণের জন্য ভিড় করেন বাসিন্দারা। এজন্য নদীর ঘাটে ঘাটে মেলাও বসেছিল। বাসিন্দারা নদীতে ডুব দিয়ে পিতৃ পুরুষের স্মৃতিতে জল দান ও পুরোহিতের সঙ্গে মন্ত্র উচ্চারণ করেন। এরপর তাঁরা মেলায় টিফিন করে বাড়ি ফেরেন। তর্পণের সেই দৃশ্য অনেকে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় বন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এদিন বাড়িতে তর্পণ করেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। মহানন্দার লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাটে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার তর্পণ সারেন। এজন্য লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাটে বাসিন্দাদের সহায়তায় ক্যাম্প করেছিল বিহারী কল্যাণ মঞ্চ।

    একই রকম দৃশ্য কোচবিহারে তোর্সা নদীর ২ নম্বর কালীঘাট, ফাঁসিরঘাট এবং বৈরাগী দিঘির ঘাটে মেলে। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি, রায়ডাক, সঙ্কোশ, জলপাইগুড়ির করলা ও তিস্তা নদী, রাজবাড়ির  পুকুরে তর্পণ করেন বাসিন্দারা।

    এদিকে রোদ ঝলমলে আকাশ হওয়ায় সর্বত্র পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে মণ্ডপ ও প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা বেশি নজরে পড়ে। এরপর বিকেল হলেই কলকাতা থেকে ভার্চুয়ালি দার্জিলিং জেলায় ১৩টি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরমধ্যে শৈল শহর দার্জিলিংয়ে দু’টি, কার্শিয়াং ও মিরিকে একটি করে, শিলিগুড়ি শহরে তিনটি, এবং মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া ব্লকে দু’টি করে মণ্ডপের উদ্বোধন করা হয়েছে। শহরের দাদাভাই স্পোর্টিং ক্লাব, সুব্রত সংঘ, মিলনপল্লি যুবক সংঘ উল্লেখযোগ্য। মেয়র গৌতম ও পুলিস কমিশনার সি সুধাকর দাদাভাই ক্লাবের এবং ডেপুটি মেয়র সুব্রত সংঘের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। প্রতিটি মণ্ডপের অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে।       

    একইভাবে কোচবিহার জেলার ১৬টি মণ্ডপের উদ্বোধন করা হয়। যারমধ্যে সদর শহরের শান্তিকুঠি সংঘ ও ব্যায়ামাগারে পুজোর মঞ্চে জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা, পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। ভারত ক্লাব ও ব্যায়ামাগার, বাবুরহাট দুর্গা মন্দির কমিটি, অকালবোধন কর্মী সংঘ সহ কোচবিহারের সাতটি সহ সিতাই, দিনহাটা, মাথাভাঙা, শীতলকুচি, মেখলিগঞ্জ ও তুফানগঞ্জের ১৬টি পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আলিপুরদুয়ারে উদ্বোধন করা হয়েছে ১০টি পুজো মণ্ডপের। সেই তালিকায় সদরের নিউটাউন দুর্গাবাড়ি সহ হ্যামিল্টনগঞ্জ, জয়গাঁ, মথুরা চা বাগান, ফালাকাটা ও শামুকতলার মণ্ডপ রয়েছে। জলপাইগুড়িতে উদ্বোধন হয়েছে ১৮টি পুজো মণ্ডপের।   কোচবিহার শান্তিকুটির ক্লাবের পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)