• গঙ্গারামপুর ইয়ুথ ক্লাবে ‘ময়ূরপঙ্খী সোনার ঝুড়ি’
    বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সোমেন পাল , গঙ্গারামপুর: মহালয়ার সকাল থেকে গঙ্গারামপুর শহর যেন পুজো মোডে। পুজোয় দর্শনার্থীদের চমক দিতে প্রস্তুত গঙ্গারামপুর ইয়ুথ ক্লাব। ৫৪ তম বর্ষে তাদের থিম ‘ময়ূরপঙ্খী সোনার ঝুড়ি’। মণ্ডপে প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীরা পাবেন এক অপার্থিব অনুভূতি। গঙ্গারামপুর চৌপথি থেকে থানা রোডে পা রাখতেই চোখে পড়বে চন্দননগরের দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা। আটটি সুবিশাল আলোকদ্বার যেন সুড়ঙ্গ তৈরি করে দর্শনার্থীদের টেনে নিয়ে যাবে ইয়ুথ ক্লাবের পুজো মণ্ডপে। রাজ্য সড়কের দু’ধারে সাজানো আলো শিশুদেরও আনন্দ দেবে। মণ্ডপের দরজায় অপেক্ষায় থাকবে সুবিশাল ময়ূর,- পেখম মেলে দাঁড়িয়ে। সেই পেখমের মধ্য দিয়েই মণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে। মণ্ডপের বাইরের বাঁশের সূক্ষ্ম নকশায় ফুটে উঠেছে হারিয়ে যাওয়া ঝুড়ি-শিল্প। ভিতরে ঢুকলেই চোখে পড়বে সম্পূর্ণ বাঁশের তৈরি দেবদেবীর সুন্দর কারুকার্য। পরিবেশবান্ধব শিল্পকর্ম মন জয় করবে দর্শনার্থীদের। 

    এবারে এই পুজোর বাজেট প্রায় ২২ লক্ষ টাকা। প্রতিমায় থাকছে সাবেকিআনার সাজ। তবে দেবীদুর্গার রূপ হবে একেবারেই আলাদা-বিশ্বরূপে দেবী। শিল্পী ও উদ্যোক্তাদের কল্পনাশক্তি মিলিয়ে মা দুর্গা সেজে উঠবেন অনন্য শোভায়। শুধু আলোকসজ্জা ও মণ্ডপ নয়, পুজো উপলক্ষ্যে থাকছে পাঁচদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সপ্তমীর দিনে আয়োজন করা হয়েছে বস্ত্র বিতরণ। 

    পুজো কমিটির সম্পাদক কৌশিক সরকার প্রতিদিনই কাজের খুঁটিনাটি তদারকি করছেন। ক্লাবের সদস্য বিপ্লব সেন বলেন, আমাদের পুজোর আলাদা নামডাক রয়েছে। সেই ঐতিহ্য আমরা ধরে রাখতে চাই। এবারের ‘ময়ূরপঙ্খী সোনার ঝুড়ি’ থিম সম্পূর্ণ বাঁশের কাজের অনবদ্য শিল্প। মণ্ডপে না এলে বোঝানো যাবে না। প্রতিমা ও আলোকসজ্জাতেও থাকছে বিশেষ চমক। চতুর্থী থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে এই রঙিন জগৎ। 

                                  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)