কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া চৌপথির পুজো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম নিদর্শন। হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষেরা মিলেমিশে এই পুজো করে থাকেন। পুজো কমিটিতে রয়েছেন মজিদুল রহমান, শৈলেন নমশর্মা, দেবাশিস কুজুরের মতো বর্তমান প্রজন্মের যুবকরা। ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে এই এলাকার সর্বস্তরের মানুষ দুর্গাপুজোতে শামিল হয়। সাধারণ মানুষের জন্য পুজোর আয়োজনে কোনও খামতি রাখেন না পুজো কমিটির সদস্যরা।
তেলিপাড়া চৌপথির যুব গোষ্ঠীর দুর্গাপুজো এবার ২৯ বছরে পড়ল। গত ২৮ আগস্ট খুঁটিপুজোর মধ্য দিয়ে যুব গোষ্ঠীর সদস্যরা পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেন। পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা মজিদুল রহমান বলেন, ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার। এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করি। বাঁশ, কাঠ, কাপড় দিয়ে মণ্ডপ বানানো হচ্ছে। পুজো কমিটিতে সব ধর্মের মানুষ রয়েছে। আমরা চাই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এই বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় তেলিপাড়া চৌপথিতে কোনও দুর্গাপুজো ছিল না। এলাকার কয়েকজন মিলে এই পুজোর সূচনা করেন। যাঁদের হাত দিয়ে এই পুজোর সূচনা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে অন্যতম কমল সর্দার, হরিমোহন রায়, নান্টু দাস, মণীন্দ্র বর্মন। আজ তাঁরা সকলেই প্রবীণ। তবে পুজো কমিটিতে এই প্রবীণ ব্যক্তিদেরও রাখা হয়েছে। তাঁদের বুদ্ধি ও পরামর্শ মেনে নতুন প্রজন্মের সদস্যরা পুজো করছেন।
পুজো কমিটির কর্মকর্তা শৈলেন নমশর্মা, দেবাশিস কুজুর বলেন, পুজোর দিনগুলিতে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। দর্শনার্থীদের মধ্যে প্রসাদ বিলি করা হবে। তেলিপাড়া ও আশেপাশের এলাকার প্রচুর মানুষ এবারে পুজোতে ভিড় করবেন বলে আমরা আশাবাদী।