কেরলের পদ্মনাভস্বামী মন্দির বর্ধমানে, দেখা যাবে রাজস্থানও
বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: মন্দিরের দেওয়ালে দ্রাবিড় স্থাপত্য শৈলির নির্দশন। রয়েছে কেরলের নিজস্ব স্থাপত্যকলা। সোনায় মোড়া মন্দির। মন্দিরের পাথরের পিলারগুলিও সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো রয়েছে। মন্দিরজুড়ে রয়েছে নানা রহস্য। মন্দিরের নীচে থাকা বিভিন্ন ভল্টে রয়েছে বিপুল ধনসম্পদ। মন্দিরের আলো-আঁধারি গর্ভগৃহে অনন্তনাগের উপর শয়নে রয়েছেন পদ্মনাভস্বামী বিষ্ণু। প্রস্ফুটিত পদ্মও যেন দেবতাকে আগলে রেখেছে। চোখ জুড়ানো বিষ্ণুর এই রূপ দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে। মন্দির চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একটু এদিক-ওদিক হলেই উড়ে আসছে সতর্কবার্তা। শৃঙ্খলা বজায় রেখে পুণ্যার্থীরা একে একে বেরিয়ে আসছেন। বাইরে থেকে সুউচ্চ মন্দিরের দিকে মাথা তুলে তাকিয়ে তাঁরা যে যার ঠিকানায় ফিরে যাচ্ছেন। এই মন্দিরে যাঁরা আসতে পারেন তাঁরা নিজেদের সৌভাগ্যবান বলে মনে করেন। আর যাঁরা এখনও যেতে পারেননি, তাঁদের চিন্তার কারণ নেই। এবার কেরলের পদ্মনাভস্বামী মন্দির উঠে আসছে বর্ধমানের সবুজ সঙ্ঘ ক্লাবে। দর্শনার্থীরা চতুর্থীর সন্ধ্যা থেকেই এই মন্দির দেখার সুযোগ পাবেন। পুজো কমিটির পক্ষে বাপি বোস বলেন, প্রতি বছরই আমাদের মণ্ডপ দেখতে ভিড় উপচে পড়ে। এবারও মন্দিরের কারুকার্য দর্শনার্থীদের মন জয় করে নেবে।
দেশজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ। কখনও মণিপুর জ্বলছে, আবার কখনও কাশ্মীরে জঙ্গিরা হামলা করছে। বিশ্বজুড়ে শান্তির বার্তা দিতে মায়ানমারের বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করছে পদ্মশ্রী সঙ্ঘ। পুজো কমিটির সদস্য তথা পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, মন্দিরে এসে মানসিক শান্তি পাওয়া যাবে। পাহাড়ী এলাকায় বৌদ্ধ মন্দিরগুলি যেমন হয়, ঠিক তেমনটাই এখানে দেখা যাবে। লক্ষ্মীপুর মাঠ সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি শ্রীরঙ্গনাথস্বামী মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সাজাচ্ছে। মন্দির ছেড়ে একটু অন্যরকম সময় কাটাতে হলে আসতে হবে জাগরণী সঙ্ঘে(আমবাগান)। একটুকরো রাজস্থান এই মণ্ডপে তুলে আনা হয়েছে। দেখা যাবে বালিয়াড়ি, কাঁটাজাতীয় গাছ। শাঁখারিপুকুর অ্যাথলেটিক ক্লাবে দেখা মিলবে কুম্ভের টুকরো ছবি। এই পুজো মণ্ডপের থিম ‘কুম্ভ মাঝে মহাকাল’। অধিকাংশ পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হয়ে যাবে চতুর্থীর সন্ধ্যাতে। ওইদিন থেকে শহরের রাস্তা আলোয় ঝলমলিয়ে উঠবে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, পুজোর দিনগুলি আনন্দে কাটাতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। সব জায়গায় পুলিশ থাকবে। যেকোনও সমস্যায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। পুজো কমিটিগুলি প্রতিবছর সহযোগিতা করে। এবারও তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। পুজো উদ্যোক্তারা বলেন, অধিকাংশ মণ্ডপ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিমাও আসতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি নদীয়া থেকে প্রতিমা নিয়ে আসছে। এছাড়া আলোকসজ্জাতেও তারা চমক দিচ্ছে। দর্শনার্থীরা এবার ভিনরাজ্যে ছড়িয়ে থাকা মন্দিরগুলি দেখার সুযোগ পাবেন।