• রাজ্য সরকারের আর্থিক সহায়তায় লাফিয়ে বেড়েছে পুজোর সংখ্যাও
    বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: শহরের পুজোয় আলোর রোশনাই আর থিমের ছড়াছড়ি বহু বছর ধরেই। আগে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বর্ধমানে দুর্গাপুজো দেখতে আসতেন বাসিন্দারা। এখনও আসেন। তবে নিজেদের গ্রামের বা ক্লাবের পুজোর আয়োজন সেরে। পুজো করার ইচ্ছে বহু এলাকার বাসিন্দাদের আগেও ছিল। কিন্তু সেই আর্থিক সামর্থ্য ছিল না। এখন রাজ্য সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। অনুদানের পরিমাণ এখন এক লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই পুজো করতে এখন আর অসুবিধা নেই। কয়েক বছর আগেও জেলায় আড়াই হাজার পুজো হতো। এবার তা চার হাজার ছড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিটি থানা এলাকায় চেক বিলি শুরু হয়েছে। এর মধ্যেও আবার অনেক কমিটি আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন করছে। তাই কত পুজো কমিটি আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে, তার সঠিক হিসেব নেই। তবে পুলিশের দাবি, সংখ্যাটা চার হাজার পেরিয়ে যাবে। এবছর নতুন করে অনেক কমিটিই পুজো করার আবেদন জানিয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, অধিকাংশ পুজো কমিটি চেক পেয়ে গিয়েছে।

    পুজো উদ্যোক্তারা বলেন, কয়েক বছর ধরে গ্রামীণ এলাকাতেও থিমের পুজো শুরু হয়েছে। খণ্ডঘোষ, রায়না, ভাতার এবং মঙ্গলকোটের কয়েকটি পুজো কমিটি থিমের মণ্ডপ তৈরি করছে। ভাতারের পুজো কমিটির সদস্য অনুপম চক্রবর্তী বলেন, আগে বহু গ্রামে পারিবারিক পুজো হতো। এখন অনেক জায়গায় একাধিক পুজো হচ্ছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার আর্থিক সহায়তা করছে বলেই পুজোর জাঁকজমক অনেক বেড়ে গিয়েছে। এখন ছোট গ্রামেও দুর্গাপুজো হচ্ছে। অন্যান্য সব পুজোর খরচ কম। কিন্তু দুর্গাপুজো করতে যত কম বাজেট করা হোক না কেন, এক লক্ষ টাকার নীচে কিছু করা যায় না। বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, এই জেলার মতো এত বেশি পুজো খুব কম জেলাতেই হয়। শহরে বহু আগে থেকে থিমের পুজো হয়। এখন আমাদের শহরেও পুজোর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। সবাই হয়তো চোখ ধাঁধানো থিম করতে পারে না, কিন্তু নিষ্ঠাভরে পুজো করে। সরকারের আর্থিক সহায়তার কারণেই এটা সম্ভব হচ্ছে। রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, পুজো উদ্যোক্তাদের চিন্তা করতে হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পাশে রয়েছেন। এবার আর্থিক সহায়তার পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার মতো বর্ধমানেও দেবীপক্ষের শুরুতেই ঢাকে কাঠি পড়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ১৭টি পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেছেন। বাকি পুজো মণ্ডপগুলির উদ্বোধন চতুর্থীর সন্ধ্যাতে হয়ে যাবে। আগে সপ্তমীর সকাল থেকে গ্রামে পুজোর মেজাজ দেখা যেত। এখন সেখানেও পঞ্চমী থেকেই উৎসবের মেজাজ দেখা যাচ্ছে।  বর্ধমানের ঘোড়দৌড়ের মণ্ডপ।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)