নারী পাচার: ধৃত দু’জনের কাছে অজস্র বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ভারতীয় টাকা!
বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বাংলাদেশে থেকে কিশোরী ও যুবতীদের এনে ভিন রাজ্যে পাচারের ঘটনায় এনআইএ-র হাতে পাকড়াও অভিযুক্তদের কাছ থেকে মিলল অনেকগুলি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ভারতীয় টাকা। পাসপোর্টগুলি বাংলাদেশি মেয়েদের। সীমান্তের ওপার থেকে তাদের এনে পাচারে অভিযুক্ত আমির আলি শেখ ও অমলকৃষ্ণ মণ্ডল নামে দুজন। নারী পাচারে জড়িত একাধিক দুর্বৃত্তের সঙ্গে তাদের ‘চ্যাট’ মিলেছে। অভিযুক্ত দুজনকে রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। চারদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের ওড়িশা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
চলতি বছরে ওড়িশায় নারীপাচার চক্রের খোঁজ পায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশ। পরে এর তদন্তভার নেয় এনআইএ। বাংলাদেশ থেকে কিশোরী এবং যুবতীদের এনে পাচার করা হচ্ছে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মহারাষ্ট্র-সহ নানা জায়গায়। বাংলায় বসে এই পাচারের কাজটি করছে আমির ও অমল। এনআইএ তদন্তে প্রকাশ, পেট্রাপোলের বাসিন্দা ও গাইঘাটার অমলের কাছে বাংলাদেশি কিশোরী ও যুবতীরা আসছে। এরপরই শনিবার গাইঘাটা ও পেট্রাপোলের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার করা হয় দুই অভিযুক্তকে।
ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, বাংলাদেশে তাদের এজেন্ট রয়েছে। তারাই মহিলাদের নামের তালিকা পাঠাত হোয়াটসঅ্যাপে। সঙ্গে থাকত বাংলাদেশি পাসপোর্টের নম্বর। সীমান্ত থেকে তাদের নিয়ে আসত ‘ধুর পার্টি’র লোকজন। এরপর ওই তরুণী, যুবতীদের রাখা হতো আমির ও অমলের বাড়িতে। সেখানে তাদের ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য নথি তৈরি করত এই দুজন। তার ভিত্তিতে আসল ভারতীয় আধার ও পাসপোর্ট তৈরি করে ভিন রাজ্যে, এমনকি বিদেশেও পাঠিয়ে দিত। বিনিময়ে মোটা টাকাই পেত ফাঁদে পড়া দুই অভিযুক্ত। ধৃতরা এনআইএকে জানিয়েছে, টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করা হতো। জাল নথি তৈরি করার একটি চক্র রয়েছে তাদের। সেখানে বাংলাদেশি ওই যুবতীদের নাম বদলে নতুন নামে বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হতো। বাংলাদেশি মেয়েদের ভিন রাজ্যে পাচারে জড়িত এই জেলার আরও অনেকে। তাদেরও খোঁজ চলছে। নিজস্ব চিত্র