• থিম নয়, ঐতিহ্যে ভর করেই বনগাঁর ‘প্রথম’ বারোয়ারি টাউন ক্লাবে পুজো
    বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাহারি থিমের দৌড়ে পিছিয়ে থাকলেও আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পুজোর আয়োজন করে বনগাঁর ‘প্রথম’ বারোয়ারি পুজো কমিটি বনগাঁ টাউন ক্লাব। যদিও প্রথম বারোয়ারি পুজো নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। ১৯২৯ সালে শুরু হয় বনগাঁ টাউন ক্লাবের পুজো। সেই সময় বনগাঁ টাউন লাইব্রেরির মাঠে এই পুজো শুরু হলেও বর্তমানে দিঘিরপাড়ে ঘোষ স্কুলের সামনে স্থায়ী মন্দিরে এই পুজো হয়। এ বছর ৯৬ বছরে পা দিল বনগাঁর এই পুজো। জাঁকজমক ও আড়ম্বরহীন হলেও রীতি মেনে মা দুর্গার পুজো হয়।

    সেই সময় বনগাঁয় বেশ কয়েকটি বনেদি বাড়িতে পুজো হলেও টাউন ক্লাবের পুজোয় ছিল সব অংশের মানুষের অংশগ্রহণ। শোনা যায়, ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় টাউন লাইব্রেরি ভবনে মিলিটারি ক্যাম্প করা হয়েছিল। সেবছর পুজো হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। কংগ্রেস নেতা প্রফুল্ল ঘোষ তাঁর বাড়ির সামনে খড়ের চালের নীচে ছোট্ট একটি ঘরে এই পুজো নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক স্কুল চলতো। সেই থেকে দিঘিরপাড় এলাকায় স্থায়ীভাবে টাউন ক্লাবের পুজো হয়ে আসছে। তবে এখন আর খড়ের চাল নেই। সকলের সহযোগিতায় পাকা মন্দির তৈরি হয়েছে। যাঁরা এই পুজোর দায়িত্বে তাঁদের মধ্যে অন্যতম বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তাপস মুখোপাধ্যায়। ২০০০ সালে চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি মন্দির সংস্কার করেন। এই কাজে বহু মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

    ২০১৫ সাল থেকে মন্দিরে নিত্যপুজো শুরু হয়। সেই বছর থেকেই দুর্গাপ্রতিমা রেখে দেওয়া হয় মন্দিরে। প্রতি বছর পঞ্চমীর দিন একচালার নতুন প্রতিমা আনা হয়। সেদিন আগের বছরের প্রতিমা বেদি থেকে নামিয়ে মন্দিরের পাশেই ঢেকে রাখা হয়। সেই প্রতিমা রীতি মেনে ভাসান হয় দশমীতে। ওই বেদিতেই রাখা হয় শিবের মূর্তি। নতুন প্রতিমার পুজো চলে এক বছর ধরে। তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, বর্তমান সময়ে থিমের সঙ্গে পাল্লা না দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করাই আমাদের লক্ষ্য। অষ্টমীর দিন এখানে ভিড় উপচে পড়ে। সারা বছর মাকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)