এ ই পার্ট ওয়ানে ‘তাঁতের বুনন’, প্যান্ডেলে শাড়ি কেনারও সুযোগ
বর্তমান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: একেই বলে, ‘রথ দেখা ও কলা বেচা’। প্যান্ডেল হপিংয়ের সঙ্গে শপিং! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই সত্যি। মণ্ডপের ভিতর ঢুকে ঠাকুর দেখার সঙ্গে এবার কিনতে পারা যাবে শান্তিপুরের তাঁতের শাড়ি। এবার পুজোয় তাঁতশিল্পের ‘বুনন’কে থিম হিসেবে তুলে ধরেছে সল্টলেক এ ই ব্লক পার্ট ওয়ান। কিভাবে সুতো তৈরি হয়, কিভাবে হয় রং, কিভাবে বানানো হয় আস্ত শাড়ি, তা দেখা যাবে মণ্ডপে। সেখানে শাড়ি তৈরিও হবে। এমনকি বিক্রির ব্যবস্থাও থাকবে। তাই প্যাণ্ডেল হপিংয়ের সঙ্গে শপিংয়ের সুযোগ।
প্রতিবারই নতুন ধরনের থিম নিয়ে হাজির হয় সল্টলেক এ ই ব্লক পার্ট ওয়ানের পুজো। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শিল্পী সঞ্জীব সাহা গড়ে তুলেছেন এই নতুন ভাবনার মণ্ডপ। ভিতরের কাজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গড়ে তোলা হয়েছে মাতৃপ্রতিমা। এবার ৪২ বছরে পা দিল এই পুজো। থিমের নাম ‘বুনন’।
মণ্ডপের ভিতর প্রবেশ করলে মনে হবে, কোনও তাঁতশিল্পীদের গ্রামে ঢুকেছেন। টালির ছাউনি দেওয়া বাড়ি। ভিতরে যন্ত্র ও হস্তচালিত তাঁতের মেশিন। সেখানে শাড়ির বুননের কাজ চলছে। মণ্ডপ সাজানো হয়েছে, অসংখ্য তাঁতের শাড়ি দিয়ে। নানা রঙের সুতো দিয়েও মণ্ডপের কাজ করা হয়েছে। পুজোর সম্পাদক সুপ্রিয় চক্রবর্তী বলেন, ‘পুজো মানে নতুন পোশাক। নতুন শাড়ি। কমবেশি সকলেই তাঁতের শাড়ি, রেশমের শাড়ি পরেন। কিন্তু কিভাবে গ্রামের দরিদ্র শিল্পীরা শাড়ি তৈরি করেন, এখনকার ছেলে-মেয়েরা তা জানেন না। তাই আমরা এবার পুজোর থিমের সঙ্গে সেই জিনিসটিকে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। শান্তিপুরের শিল্পীরা এখানে আসবেন। শুধু শাড়ি তৈরি নয়, কীভাবে গুটিপোকা থেকে রেশমের সুতো বের করা হয়, তাও দেখানো হবে। দর্শনার্থীরা এখানে অন্যরকম স্বাদ পাবেন। ভিতরে তাঁতের শাড়ি বিক্রির একটি স্টল থাকবে। যাঁরা বানাবেন সেই শিল্পীরাই বিক্রি করবেন।’