মহালয়ায় মমতার গানের অ্যালবাম ‘দুর্গা অঙ্গন’ প্রকাশ
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মহালয়া মানেই উৎসব মরশুমের শুরু। আর উৎসবে নতুন পোশাক-পরিচ্ছদের পাশাপাশি বাঙালির চাই শারদ পত্রিকাও। তবে এবার বাঙালির বাড়তি পাওনা হিসাবে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গান।
তবে দুটোই যদি পাওয়া যায় একসঙ্গে, একই মঞ্চে! উল্লেখ্য, প্রতি বছর ঠিক মহালয়ার দিনই প্রকাশিত হয় ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। মহালয়ার দিন অর্থাৎ রবিবার নজরুল মঞ্চে ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশের অনুষ্ঠানেই মুক্তি পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের অ্যালবাম ‘দুর্গা অঙ্গন’। অ্যালবামের ১৭টি গানের কথা ও সুর মুখ্যমন্ত্রীর নিজের এবং কণ্ঠ দিয়েছেন বাংলার গুণী শিল্পীরা।
এদিন নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়েছেন, বাংলা গান বাঙালির রক্তে রয়েছে। শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে নজরুল মঞ্চ থেকে তাঁর বার্তা, ‘বাংলার শিল্পীরা রাজ্যের গর্ব। তাঁদের গান মন দিয়ে আমরা শুনব সবসময়।’
সেই সঙ্গে এদিন সিঙ্গুরের কৃষক পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই মমতা তাঁর বক্তব্য শেষ করতে চাইলে রাজ্যের মন্ত্রী তথা সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন তাঁকে গান গাওয়ার অনুরোধ করেন। পাল্টা মমতার বক্তব্য, তিনি শিল্পী নন। শেষমেশ জনগণের অনুরোধ মেনে মুখ্যমন্ত্রী গাইলেন আগমনী গান— ‘জাগো দুর্গা’।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ও। বাংলায় দুর্গাপুজো প্রসারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ছোটবেলার দুর্গাপুজো ছিল মাত্র চারদিনের। ২০১১ সালে মা-মাটি-মানুষের সরকার বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় দুর্গাপুজোর ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। তাঁর তৎপরতায় আজ মহালয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে। রাজ্যের আর্থিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও তিনি রাজ্যের পুজো ক্লাবগুলিকে অনুদান দিয়েছেন। তাঁর এই বহুমুখী উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
এই মঞ্চ থেকেও গেরুয়া শিবিরের দিকে আক্রমণ শানিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘মহালয়া মানেই শুভ শক্তির আগমন। মা প্রত্যেক মানুষকে সুস্থ এবং ভালো রাখবেন এই কামনা করি। মায়ের কৃপায় মুছে যাক সকল গ্লানি, শোক। মায়ের আশীর্বাদে চারিদিকে কল্লোলিত হোক সত্যের জয়ধ্বনি। জয় হোক বাংলা-বাঙালির। যাঁরা বাংলাকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে তিন বছর আগে বলে গিয়েছিল, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না! মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ইউনেস্কো তাদেরই জবাব দিয়েছে। বাংলার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে।’
একসঙ্গে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বাংলার শিল্পীদের গান শোনেন মমতা এবং অভিষেক। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকসী, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ প্রমুখ।