• চেতলা অগ্রণীতে প্রতিমার চক্ষুদান মুখ্যমন্ত্রীর, উদ্বোধন করলেন দক্ষিণ কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন মণ্ডপও
    আনন্দবাজার | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • শনিবার থেকে কলকাতার বিভিন্ন দুর্গাপুজোর মণ্ডপ উদ্বোধন শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারও দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন করেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পুজো বলে পরিচিত চেতলা অগ্রণীর পুজোমণ্ডপও। সেখানে দুর্গাপ্রতিমার চক্ষুদানও করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া যোধপুর পার্ক সর্বজনীন, ৯৫ পল্লী, সেলিমপুর পল্লী, বাবুবাগান, বান্ধন সম্মিলনীর পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন করেন তিনি। ৯৫ পল্লীর মঞ্চ থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের পুজোরও।

    কলকাতার বিভিন্ন পুজোমণ্ডপের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন মণ্ডপেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে রয়েছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের চাকাইপুর মহামায়া ক্লাবের দুর্গোৎসব। ৯৫ পল্লীর মঞ্চ থেকে এটিরও ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন তিনি। বস্তুত, এই চাকাইপুর হল মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক গ্রাম। রবিবার ওই গ্রামের মহামায়া ক্লাবের পুজোমণ্ডপের ভার্চুয়াল উদ্বোধনের সময়েও সে কথা বলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার জীবনে আজ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। কিন্তু চাকাইপুর গ্রাম আমার পিতার জন্মস্থান, পিতৃভূমি।” এর পরে মমতা আরও জানান, তাঁর সশরীরেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এর পরে বীরভূম সফরে গেলে চাকাইপুর গ্রামে যাবেন, সেই কথাও দেন গ্রামবাসীদের।

    কলকাতার দুই পুজোয় ঠাকুর দেখতে যাওয়া যাবে পোষ্য নিয়ে, উত্তর এবং দক্ষিণে দুই শারদোৎসবে অভিনবত্বের ছোঁয়া
    দুর্গা অঙ্গন মন্দিরের ট্রাস্ট গঠন হয়ে গিয়েছে, সেলিমপুর পল্লীর পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
    দুর্গা অঙ্গন মন্দিরের ট্রাস্ট গঠন হয়ে গিয়েছে, সেলিমপুর পল্লীর পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
    রবিবার কলকাতার অন্য পুজোমণ্ডপগুলির উদ্বোধন সেরে চেতলা অগ্রণীতে যান মমতা। সেখানে মণ্ডপ উদ্বোধনের পরে চেতলা থেকেই জেলার বিভিন্ন পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপত্রের উৎসব সংখ্যারও উদ্বোধন করেন মমতা। কলকাতা এবং জেলার পুজোমণ্ডপ উদ্বোধনের পরে সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘মায়ের পুণ্যাশিস সকলের জীবনে বয়ে আনুক আনন্দধারা। সর্বধর্ম সমন্বয়ের বাংলায়, দুর্গোৎসবে সকল মানুষ একসঙ্গে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হোক। বাংলার প্রতিটি মানুষের জীবন হয়ে উঠুক আলোকোজ্জ্বল- মা ত্রিভুবনেশ্বরীর চরণে এই প্রার্থনা আমার। উৎসব আর আনন্দে আলোকিত হয়ে উঠুক এই মঙ্গলালোক, এই বাংলা।’

    এর আগে শনিবার হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয় এবং শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী কাল, সোমবার আলিপুর সর্বজনীন, বেহালা নূতন জল, বরিষা, অজেয় সংহতি, বোসপুকুর শীতলা মন্দির, বোসপুকুর তালবাগান, গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাব, কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ, চেতলা কোলাহল গোষ্ঠী, হরিদেবপুর ৪১ পল্লীর পুজোমণ্ডপের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)