• দুর্গা অঙ্গন মন্দিরের ট্রাস্ট গঠন হয়ে গিয়েছে, সেলিমপুর পল্লীর পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
    আনন্দবাজার | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • দুর্গা অঙ্গন তৈরির জন্য জমি এবং অর্থ সংস্থান আগেই হয়ে গিয়েছিল। এ বার মন্দিরের জন্য ট্রাস্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সেলিমপুর পল্লীর শারদোৎসবের উদ্বোধন করে নিজের বক্তৃতায় সে কথাই উল্লেখ করেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘আমি একটা দুর্গা অঙ্গন বানাব, জগন্নাথ ধামের মতো। জায়গাও ফাইনাল হয়ে গিয়েছে। ট্রাস্টও তৈরি হয়ে গিয়েছে, তৈরি করতে যেটুকু সময় লাগবে।’’ মমতার এমন ঘোষণার পর মনে করা হচ্ছে, দিঘার মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব তিনি ইসকনের হাতে ছেড়ে দিলেও, দুর্গা অঙ্গন পরিচালনার দায়িত্ব এই ট্রাস্টের হাতেই রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

    আর মহালয়ার দিন এমন ঘোষণাকে মমতার রাজনৈতিক কৌশল হিসাবেই দেখছে বিরোধীদের একাংশ। তবে রাজনীতির কারবারিরা মনে করছে, উৎসবের মঞ্চ থেকেও রাজ্যবাসীকে নিজের কাজের ফিরিস্তি দিয়ে রাখছেন মমতা। যাতে তাঁর কাজ নিয়ে বিরোধীদের প্রচারের জবাব রাজনৈতিক ভাবে আগেই জনতার কাছে পৌঁছে যায়। এ বছর তৃণমূলের শহিদ দিবসের কর্মসূচিতে ২১ জুলাই দুর্গা অঙ্গন তৈরির কথা ঘোষণা করেন মমতা। অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। তার পর দরপত্র ডেকে দুর্গা অঙ্গন তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন পর্ষদ (হিডকো)। আর এ বার শারদোৎসবের আবহেই তিনি মন্দিরের জন্য ট্রাস্ট গঠন করার কথা জানিয়ে দিলেন। নিউটাউনের ইকো পার্কের অদূরে তৈরি হবে দুর্গা অঙ্গন। রামকৃষ্ণ মিশনের জমির ঠিক পাশের জমিতেই মাথা তুলে দাঁড়াবে এই মন্দির।

    গত ২২ অগস্ট দরপত্র আহ্বান করে হিডকো। তাতে মন্দির নির্মাণের আনুমানিক খরচ ধার্য করা হয়েছে ২৬১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩০ হাজার ৩০৪ টাকা। ১১ সেপ্টেম্বর ছিল দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার পর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে মাটি ফেলে ১২.৬ একর জমিকে উঁচু করার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে দুর্গা অঙ্গন নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে। এ বছর অক্ষয় তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন করেন মমতা। ঘটনাচক্রে, দিঘার জগন্নাথধাম নির্মাণের ক্ষেত্রেও মূল দায়িত্বে ছিল হিডকো। এ বার দুর্গা অঙ্গন-এর ক্ষেত্রেও তারাই মূল দায়িত্বে।

    সেলিমপুর পল্লীর সঙ্গেই বাবুবাগান সর্বজনীন, চেতলা অগ্রণী, ৯৫ পল্লীর পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা। পাশাপাশি ভার্চূয়াল মাধ্যমে জেলার প্রায় তিন হাজার পুজোর উদ্বোধন মহালয়ার দিনেই করে দিয়েছেন তিনি। পুজোর উদ্বোধনের আগে নজরুল মঞ্চে দলীয় একটি অনুষ্ঠানেও যোগদান করেন তৃণমূলের সর্ব্বোচ্চনেত্রী।

    অন্যদিকে, মহালয়া উপলক্ষে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনাদের সবাইকে শুভ মহালয়ার শুভেচ্ছা। আসন্ন দুর্গাপূজার পবিত্র দিনগুলি আমাদের সবার জীবনে আলোকময় ও উদ্দেশ্যপূর্ণ হোক। মা দুর্গার আশীর্বাদ সবার জীবনে নিয়ে আসুক দৃঢ় শক্তি, অশেষ আনন্দ ও সুস্বাস্থ্য।’’ রাজ্যবাসীকে মহালয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)