কলকাতার দুই পুজোয় ঠাকুর দেখতে যাওয়া যাবে পোষ্য নিয়ে, উত্তর এবং দক্ষিণে দুই শারদোৎসবে অভিনবত্বের ছোঁয়া
আনন্দবাজার | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কলকাতার শারদোৎসবে প্রতি বছর কোনও না কোনও অভিনবত্ব সংযোজিত হয়। কোথাও থিমে আধুনিকতার ছোঁয়া ধরা পড়ে, কোথাও আবার দেবীমূর্তি দিয়েই শৈল্পিক ভাবনা ফুটিয়ে তোলেন শিল্পীরা। এ বার কলকাতার দুই প্রান্তের দু’টি পুজোয় একই অভিনবত্বের চিত্র ফুটে উঠবে। প্রথমটি উত্তর কলকাতার বিধান সরণী অ্যাটলাস ক্লাবের পুজো, অন্যটি দক্ষিণ কলকাতার পিকনিক গার্ডেন এলাকার ৩৯ পল্লী। দু’টি পুজোতে দর্শনার্থীরা তাঁদের পোষ্যদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে যেতে পারবেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গেই পোষ্যরাও মণ্ডপে ঢুকতে পারবে বলেই পুজো কমিটিগুলির তরফে জানানো হয়েছে।
যদিও, বিধান সরণী অ্যাটলাস ক্লাবে পুজোয় এমন উদ্যোগ প্রথম নয়। ২০২২ সালের শারদোৎসবের সময় থেকেই নিজেদের মণ্ডপে পোষ্যদের নিয়ে প্রবেশের সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের দুর্গাপুজোতেও সেই রীতি বহাল রেখেছিলেন। অনেক দর্শকই তাঁদের প্রিয় পোষ্য সারমেয় কিংবা বিড়ালদের এনে মণ্ডপে ফোটো তুলে নিয়ে গিয়েছেন বলেই জানাচ্ছেন পুজো কমিটির কর্তারা। আর তাই এমন সাড়া পেয়ে ২০২৫ সালের দুর্গোৎসবেও সেই রীতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরিজৎ মিত্র। আর পিকনিক গার্ডেন এলাকার ৩৯ পল্লী ক্লাব এ বছর থেকেই পোষ্যদের তাদের পুজো মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অ্যাটলাস ক্লাব তাদের পুজোর প্রচারেও নিজেদের ‘পোষ্য-বান্ধব’ বলেই প্রচার শুরু করেছে। নিজেদের ৪২তম বর্ষের শারদোৎসবে শিল্পী-শাশ্বতের ভাবনায় সেজে উঠছে ওই ক্লাবের পুজো। তবে দক্ষিণের ৩৯ পল্লী পোষ্যদের নিয়ে দর্শনার্থীদের ঠাকুর দেখতে আসার বিষয়ে প্রচার করতে নারাজ। সম্পাদক গৌতম রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘অনেকের কাছে পোষ্যেরা সন্তানের মতো। সেই সন্তানসম পোষ্যকে একা বাড়িতে রেখে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে মন ঠিক রাখতে পারেন না তারা। তাই যাঁরাই আমাদের মণ্ডপে পোষ্যদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে আসবেন, তাঁদের সকলকেই আমরা আমাদের ঠাকুর দেখার সুযোগ করে দেব।’’ প্রসঙ্গত, ৩৯ পল্লী পুজোর থিম- আমরা আমাদের মতো। শিল্পী স্নেহাশিস দাস ‘ডাউন সিনড্রোমে’ আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে এই শারদোৎসবকে সাজিয়ে তুলছেন।