পাশ করলে পদপ্রাপ্তি! বিস্তারক নিয়োগে এবার লিখিত পরীক্ষার পথে পদ্মশিবির
প্রতিদিন | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শিক্ষক নিয়োগের মতো এবার লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতার ভিত্তিতে ‘বিস্তারক’ নিয়োগের পথে হাঁটল বিজেপি। লিখিত পরীক্ষায় সফলদের নিয়ে হবে ‘গ্রুপ ডিসকাশন’। তার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে তালিকা। পাশাপাশি এতদিনের পুরনো নিয়মেও বদল। এবার বিবাহিতদেরও ‘বিস্তারক’ হিসাবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। আগের নিয়মে শুধুমাত্র অবিবাহিতরাই বিস্তারক হতে পারতেন। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, সেই নিয়ম অনেক ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ মানা যেত না। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
পুজোর পরই রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারে নেমে পড়বে সব রাজনৈতিক পক্ষ। বিজেপির ক্ষেত্রে এই প্রচারে বিধানসভা কেন্দ্রপিছু একজন করে বিস্তারক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। রাজ্য নেতৃত্বের প্রতিনিধি হিসাবে এই বিস্তারকরা বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের পাশাপাশি প্রচারকাজ তদারকি করে থাকেন। সাধারণত, সাংগঠনিক দক্ষতার বিচারে দীর্ঘদিনের দলীয় কর্মীদের এই পদে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু এবছর থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে লিখিত পরীক্ষা ও আলোচনার মধ্যে দিয়ে বিস্তারক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির।
দলীয় সূত্রে খবর, প্রতিবারই এই ‘বিস্তারক’ নিয়োগ নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। বিস্তারকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে জেলাস্তরের কর্মীদের মধ্যে। তার প্রেক্ষিতেই এই লিখিত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত। এবার বিস্তারক নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বোসকে। তিনি জানিয়েছেন, “যেভাবে লিখিত পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে, বিষয়টি সেরকম নয়। যাঁরা বিস্তারক হবেন, তাঁরা দলের রাজনৈতিক পথ ও নীতি-ভাবধারা সম্পর্কে কতটা জানেন, তা দেখে নেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। এটা প্রতি বছরই করা হয়। আগ্রহী প্রার্থীদের কাছে আলোচনার মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা কতটা দল সম্পর্কে জানেন। অনেকে লিখিতভাবে তাঁদের উত্তর জমা দেন। সেটাই হবে।” পুজোর মধ্যেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই লক্ষ্য। লিখিত পরীক্ষা ও ‘গ্রুপ ডিসকাশনে’ পাশ করা নির্বাচিতদের দু’দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হবে।