একটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে শনিবার উত্তেজনা ছড়াল ব্যারাকপুরে কল্যাণীএক্সপ্রেসওয়ের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার (মধ্য) ইন্দ্রবদন ঝা বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়েঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটি থানা এলাকার সাহেব কলোনির বাসিন্দা দীপঙ্কর দাসের বছর দেড়েকের মেয়ে ঐশীর গায়ে গরম তেল পড়েযাওয়ায় শরীরের বেশ কিছুটা অংশ পুড়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাঁকে প্রথমে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকেকলকাতার হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়েছিল। কিন্তু নিয়ে যেতে যেতেই তার অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে দেখে পরিবারের তরফে আলোচনা করে শিশুটিকেব্যারাকপুরের ওয়্যারলেস মোড়ের কাছে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়।
শিশুটির পরিবারের তরফে অভিযোগ, তাঁদের ধাক্কা মেরে নার্সিংহোমের বাইরে বার করে দেওয়া হয়। যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঐশীর বাবা দীপঙ্করের অভিযোগ, ‘‘মেয়েকে ভর্তি করানোর পরেও কোনও চিকিৎসক দেখতে আসেননি। কিছু ক্ষণ পরে এক জন চিকিৎসক ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে মেয়ের পরিস্থিতি জানতে চান। শনিবার সকালে এক জন নার্স ঐশীর নাকে নল ঢোকানোর পরেই ওর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে শুধু দুর্ব্যবহারই নয়, রীতিমতো নিগ্রহ করা হয়।’’
মৃত শিশুর মা প্রিয়াঙ্কা দাসের অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়ে চলে গেল চিকিৎসায় গাফিলতিতে। কী চিকিৎসা হয়েছে, জানতে গেলে আমাকেই ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বার করে দেওয়া হয়! শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত কোনও চিকিৎসকই আসেননি ঐশীকে দেখতে।’’
যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ মানতে চাননি। তাঁদের দাবি, শিশুটিকে চিকিৎসক দেখেছেন এবং তাঁকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে।