মস্তিষ্ক বনাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অভিনব প্রয়াস অন্য মহালয়া ‘শক্তি’
আনন্দবাজার | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক অন্য রকম যুদ্ধের সূচনা হয়ে গিয়েছে। মানুষের মস্তিষ্ক বনাম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বন্দ্ব। প্রযুক্তি এগোচ্ছে প্রতি মুহূর্তে কিন্তু তা এখনও মানুষের আবেগ, চিন্তা আর সৃজনশীলতাকে ছাপিয়ে উঠতে পারেনি। এই প্রেক্ষিতেই শিল্পী সৌরভ দাসের ভাবনায় ফুটে উঠবে অন্য মহালয়া ‘শক্তি’।
সৌরভ একাধারে নৃত্য প্রশিক্ষক, অন্য দিকে দক্ষ ভিজ়্যুয়াল এফেক্ট শিল্পী। সম্প্রতি তিনি পরিচালনা করেছেন ‘কোহিনুর’। সেখানে অভিনয় করেছিলেন রজতাভ দত্ত-সহ প্রমুখ। এই চলচ্চিত্র সম্ভবত টলিউডের প্রথম ভিএফএক্সস চলচ্চিত্র। তাঁর ভাবনার মহালয়ায় এ বারে থাকছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভিজ়্যুয়াল এফেক্ট ও মোশন। এ সব থাকলেও বাঙালির মহালয়া নিছক ‘যান্ত্রিক’ হয়ে উঠবে না বলেই দাবি শিল্পীর। তাঁর কথায়, ‘‘মহালয়া মানেই আবেগ, নস্টালজিয়া। ভোরে উঠে মানুষ বিশেষ কিছু দেখবে বলেই অপেক্ষা করে। সেই আবেগকে প্রযুক্তির হাত ধরে এক ধাপ এগিয়ে নিতে চাই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিষয়টা একই থাকবে তবে প্রযুক্তির সাহায্যে তাকে আন্তর্জাতিক মাত্রায় নিয়ে যেতে চাই।’’
অভিনয়ে অংশ নিয়েছেন সৌরভের ছাত্র-ছাত্রীরাই। তবে দুর্গার মুখ ফুটে উঠেছে অদ্বিতীয়া মুখোপাধ্যায় নামে এক ছাত্রীর মুখাবয়বকে কেন্দ্র করে। এ ভাবেই মহাদেবের মুখ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক ছাত্রের মুখের আদলে। সব মিলিয়ে যন্ত্র ও মানুষের মন- দু’য়েরই মিলন ঘটেছে। প্রযুক্তি, নস্টালজিয়া ও নতুন প্রজন্মের আবেগকে ‘একত্র’ করে অভিনব উপস্থাপনা দর্শকমহলে সাড়া ফেলবে বলে আশা পরিচালক সৌরভ ও প্রযোজক সৌমি দত্ত রায়ের। দু’জনেরই লক্ষ্য, অভিনব মহালয়া ‘শক্তি’কে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছে দেওয়া। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে টিজ়ার ও ট্রেলার। এবার অপেক্ষা ‘শক্তি’ প্রকাশের।