অ্যামিবার আক্রমণে মস্তিষ্কের রোগ নিয়ে চিন্তা বেড়েছে কেরলে। বিরল এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বঙ্গেও। কয়েক মাস আগে হুগলির শ্রীরামপুরের এক প্রৌঢ় এই রোগে আক্রান্ত হন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার পরে প্রবীর কর্মকার ওরফে লাল্টু নামে ওই প্রৌঢ় এখন অনেকটা সেরে উঠেছেন।
চিকিৎসকেরা জানান, এককোষী জীব অ্যামিবার বাস মূলত নোংরা জলেই। সেই জলের সংস্পর্শে কোনও মানুষ এলে নাক, মুখ বা চোখের কোণ দিয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে বাসা বাঁধে অ্যামিবা। তার পরে মস্তিষ্কের কোষ ও স্নায়ুর দফারফা করে। ঘিলু কুরে কুরে খায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাই একে বলা হয় ‘ব্রেন ইটিং অ্যামিবা’ (মস্তিষ্কভোজী অ্যামিবা)। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্কমৌলি কর বলেন, ‘‘অত্যন্ত বিরল রোগ। জেলাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে, দূষিত জল থেকে দূরে থাকার বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।’’
বছর ছাপ্পান্নর প্রবীর বাহির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। পেশায় কলমিস্ত্রি। স্ত্রী পম্পা জানান, এলাকাতেই কাজ করতেন প্রবীর। কয়েক মাস আগে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাঝে মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যেতেন। অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। বহু জায়গা ঘুরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসা হয়। সেখানেই রোগের নাম জানা যায়। গত এপ্রিল থেকে মাস দু’য়েক তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে আনুষঙ্গিক চিকিৎসা চলছে। রবিবার বাড়িতে বসে প্রবীর বলেন, ‘‘কী অবস্থাই না হয়েছিল! এখন অনেকটাই সুস্থ।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনার পরে মস্তিষ্কভোজী অ্যামিবায় আক্রান্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ১৬ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই ভিন্ রাজ্যে গিয়ে আক্রান্ত হন।