• মাঠ চষল বিশ্বভারতী, ক্ষুব্ধ ক্রীড়াপ্রেমীরা
    আনন্দবাজার | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পৌষমেলার মাঠ ঘিরে দেওয়া নিয়ে আগেই বিতর্ক হয়েছিল। এ বার নিজস্ব দু’টি ফাঁকা মাঠ ট্রাক্টর দিয়ে চষে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বোলপুর-শান্তিনিকেতনের ক্রীড়াপ্রেমীরা। যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, এগুলি মাঠ নয়। পড়ে থাকা ফাঁকা জায়গা। এগুলি এ বার নানা কাজে ব্যবহার করা হবে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতন থানা সংলগ্ন বিশ্বভারতীর দু’টি মাঠ রয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন বোলপুর-শান্তিনিকেতনের অনেকে খেলাধুলো, শরীরচর্চা করেন। সকাল ও সন্ধ্যায় অনেকে হাঁটেন। অভিযোগ, রবিবার দুপুরে সে মাঠ দু’টি হঠাৎ ট্রাক্টর দিয়ে চষে দেওয়া হয়।

    ক্রীড়াপ্রেমীদের অভিযোগ, এমন ভাবে মাঠ দু’টিকে চষে দেওয়া হয়েছে যাতে খেলাধুলো না করা যায়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এ দিন বিকেলে অনেকে মাঠে জড়ো হন। বোলপুরের ক্রীড়াপ্রেমী সন্দীপ রায়চৌধুরী, সুমিত ঘোষ, সৌরভ খানেরা বলেন, “প্রথমে পৌষমেলার মাঠ ঘিরে ফেলা হল। এ বার খেলাধুলো বন্ধের জন্য এ দু’টি মাঠও চষে দেওয়া হল। অত্যন্ত অমানবিক ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনও এ জিনিস চাননি।”

    ক্রিকেটার প্রভাত রক্ষিত বলেন,“আমরা খেলতে চাই। খেলার মাঠই যদি চষে দেওয়া হয়, তা হলে খারাপ লাগে।” প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, “কখনও মাঠ ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। কখনও মাঠ ট্রাক্টর দিয়ে চষে দেওয়া হচ্ছে। কেন এ সব করা হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না। রবীন্দ্রনাথ কখনও এ জিনিস চাননি।”

    বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ জানান, এগুলি মাঠ নয়। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বিশ্বভারতীর ফাঁকা জায়গা। বেশ কিছু দিন ধরেই নানা ধরনের অভিযোগ আসছিল। একই সঙ্গে বিশ্বভারতী ফাঁকা জায়গাগুলি কী ভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে, সংসদ থেকে তা জানতে চাওয়াও হচ্ছিল।

    অতিগ বলেন, ‘‘তাই আমরা ঠিক করেছি সেখানে বাড়িঘর না বানিয়ে উদ্যানপালন, খামার, ফুলের বাগান ইত্যাদি যদি তৈরি করা যায়। তা হলে উৎপাদিত আনাজ, ফল, ফুল বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানে কাজে লাগাতে পারবেন। তাই আজ চষে দেওয়া হল।”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)