• ‘ভোট চুরি’র কারিগর দু’পক্ষ, সরব কংগ্রেস
    আনন্দবাজার | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ভিন্ন পদ্ধতিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলই সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার লুট করছে বলে সরব হল কংগ্রেস। সেই সঙ্গেই তাদের দাবি, ভোটার তালিকার বিশেষ আমূল সংশোধনের (এসআইআর) নামে কারও ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেওয়া চলবে না।

    জেলায় জেলায় এখন ‘ভোটার অধিকার সম্মেলনে’র কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। তারই অঙ্গ হিসেবে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা (গ্রামীণ) কংগ্রেসের আয়োজনে রবিবার স্বরূপনগরের শাঁড়াপুলে সভায় ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, জেলা সভাপতি ইন্দ্রাণী দত্ত চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেসের মিডিয়া প্রবক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। অমিতাভ বলেছেন, ‘‘দেশের নির্বাচন কমিশন যে বিজেপির শাখা সংগঠন হিসাবে কাজ করছে, সেটা রাহুল গান্ধী প্রমাণ করে দিয়েছেন। এ রাজ্যে তৃণমূলও পুলিশ-প্রশাসনকে ব্যবহার করে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পুতুল বানিয়ে, পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। ভিন্ন কায়দায় দু’দলই ভোট চুরি করে চলেছে।’’ তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের মতো ‘এসআইআর করতে দেব না’র হুঙ্কার তাঁরা দিচ্ছেন না। কারণ, এসআইআর সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। তাঁরা ওই প্রক্রিয়ার নামে ‘বৈধ’ ভোটারের অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরোধী। জেলা (গ্রামীণ) কংগ্রেস সভাপতি ইন্দ্রাণীর বক্তব্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ইন্দিরা গান্ধী ইচ্ছুক বাঙালি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন। এখন নরেন্দ্র মোদীর সরকার বাংলায় কথা বলার অভিযোগে দেশের নাগরিকদের ধাক্কা মেরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। কংগ্রেসকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডলেরা।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)