আমি স্কোরবোর্ড মানি না, অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই, বিশ্বাস নেই আধ্যাত্মিক গুরুতেও: আবীর
আনন্দবাজার | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শহরের অভিজাত এক হোটেলের তিনতলার একটি ঘর। সেখানে দুই ভিন্ন সময়ের অভিনেতা একসঙ্গে। একজন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যজন আবীর চট্টোপাধ্যায়। দু’জনেই যতটা সম্ভব সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে চলেন। দু’জনেই অল্প কথার মানুষ বলে পরিচিত। যদিও হোটেলের লবিতে আনন্দবাজার ডট কমের মুখোমুখি আবীর চট্টোপাধ্যায়কে বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেল।
প্রশ্ন: দর্শক আপনাকে এত বার গোয়েন্দা হিসেবে দেখেছে। তাই কি স্বাদ বদল করতে প্রেমিক হয়ে উঠলেন?
আবীর: না, সে তো ‘আমার চোখের নীল’ গানটা দেখতে দেখতে এটা হয়তো মনে হচ্ছে। ‘রক্তবীজ ২’ ছবির যা ব্যাপ্তি, তাতে কতটা প্রেমের জায়গা থাকবে সেটা বলা মুশকিল। যদিও গানটা মুক্তি পাওয়ার পরে লোকে ভাবছেন মিমির সঙ্গে প্রেমট্রেম আছে, ক্রমশ প্রকাশ্য। আসলে আগের বার সংযুক্তা (মিমির অভিনীত চরিত্র) ও পঙ্কজের (আবীর অভিনীত চরিত্র) মধ্যে ‘পাওয়ার পলিটিক্স’ ছিল। সংযুক্তা ভাবত দিল্লিতে এসে ওর উপর দাদাগিরি করছে পঙ্কজ।
প্রশ্ন: নীল বিকিনিতে মিমিকে দেখে সমাজমাধ্যমে ঝড়। তাইল্যান্ডের তপ্ত সৈকতে প্রথম দেখেছিলেন নায়িকাকে। কোনও কমপ্লিমেন্ট দেননি?
আবীর: আমি সমাজমাধ্যমে নেই, তবে আমার টিম রয়েছে যারা সবটা দেখাশোনা করে। ওদের কাছ থেকেই জেনেছিলাম, লোকে এত প্রশংসা করছে ওর। আর আমি জানতাম কী হবে। শুটের জন্য ও যে কঠোর পরিশ্রম করেছে, যে ভাবে খাওয়াদাওয়া কমিয়েছিল সেগুলো জানতাম। গানটা আসলে সিনেমার শুটিং শেষ হওয়ার এক মাস পরে শুট হয়। তাই সিনেমার শুটিং চলাকালীনও কড়া ডায়েটে ছিল। আসলে মিমি এমনিতেই ভীষণ ডিসিপ্লিনড মেয়ে। নন্দিতাদি, জ়িনিয়া আগেই ওকে বলেছিল সিনেমার প্রয়োজনে ওকে এই পোশাকটা পরতে হবে। তাই মিমিকে আমি বলেছিলাম, যা-ই করিস অসুস্থ হয়ে পড়িস না। আমার মনে হয় মিমি অসাধ্যসাধন করেছে।
প্রশ্ন: নায়িকাকে এমন লাস্যময়ী অবতারে দেখে কোনও মুগ্ধতা কাজ করেনি?
আবীর: সত্যি বলতে, মিমিকে এত ছোট থেকে দেখছি যে আলাদা করে নায়িকা হিসেবে কী ভাবে দেখি! মানে ফুকেটের তপ্ত সমুদ্রসৈকতে মিমিকে বিকিনিতে দেখে দারুণ রোমাঞ্চ হয়েছে, তেমন নয়। অনেকে এই গানটাকে অনেক ভাবে দেখবেন। কেউ ভাববেন বাংলা সিনেমায় দর্শক টানতেই বিকিনি পরেছেন পরেছেন নায়িকা, কেউ আবার মিমির পরিশ্রমটা দেখবেন। কেউ আবার ওর পেশাদারিত্ব দেখবেন। সবটা মিলিয়ে সহ- অভিনেতা হিসেবে ওর জন্য গর্বিত।
প্রশ্ন: মিমি এই প্রেমিক আবীরকে দেখে কী বললেন?
আবীর: আসলে খুব ছোট থেকে ওর পরিশ্রমটা দেখছি। ও আমার জার্নিটা দেখেছে। তাই মিমি আমাকে সব সময় বলে, আমি নাকি ভীষণ রসকষহীন, অভিভাবকের মতো হাবভাব আমার। তাই মিমিকে বলেছিলাম, এত কিছু করে শেষমেশ গার্ডিয়ান টাইপের লোকের সঙ্গে প্রেম করতে হচ্ছে (হাসি)!
প্রশ্ন: পর্দায় মিমির সঙ্গে প্রেমমাখা মুহূর্ত, আপনাদের রসায়নটা দেখে স্ত্রী নন্দিনী কী বললেন?
আবীর: ও আসলে পুরো ছবিটা দেখেছে। শুটিংয়ের সময় ব্যক্তিগত ছবিগুলো নন্দিনী দেখেছে। মিমির সঙ্গেই বেশি কথা হত। নন্দিনী মিমিকে বলেছিল, হয়ে গিয়েছে শুটিং। এ বার ভাল করে খাওয়া-দাওয়া কর। গানের লোকেশন ওর খুব ভাল লেগেছে। আসলে নন্দিনী আমার কেরিয়ারটা সম্পর্কে যেমন অবগত, তেমনই ছবিটা বেশ ভাল বোঝে।
প্রশ্ন: এই ছবিতে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। আপনাদের মধ্যে নাকি বিস্তর মিল!
আবীর: তাই! ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সুপুরুষ বাংলা ছবিতে দেখতে পাওয়া যায় না। ওঁর কথা বলার স্টাইল থেকে শুরু করে কোনও কিছুই সমসাময়িকদের মতো ছিল না, এতটাই শিক্ষিত একটা মানুষ উনি। সেই উনিই কিন্তু বাংলা মূল ধারার ছবিতেও ফাটিয়ে দিচ্ছেন! আবার বলিউডে কাজ করেছেন। তেমনই অন্য ধারার ছবিতে কাজ করছেন, বিদেশি ছবি করেছেন। এত বৈচিত্র বিরল। শটের মাঝে হাসিঠাট্টা হত, অনেক বিষয়ে কথা হত ওঁর সঙ্গে। ভিক্টরদার থেকে উষ্ণতার পরশ পেয়েছি। সেটা হয়তো সবাই পান না, ওঁর কাছে আমি পেয়েছি।
প্রশ্ন: সবাই বলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কঠিন মোড়কে ঢাকা একটা মানুষ!
আবীর: এটা আসলে প্রয়োজন। উনি এতদিন ধরে কাজ করছেন, কত ধরনের কাজ করেছেন। আর সবাই তো একরকম হন না। আর আমি আমার সঙ্গে তুলনায় যাব না। ওঁর যে ব্যক্তিত্বটা রয়েছে সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার কোনও সমস্যা হয়নি।
প্রশ্ন: অনেকেই বলেন আবীর ক্যামেরার সামনে যত না ভাল, তার থেকেও বেশি ভাল ডাবিং স্টুডিয়োয়, সত্যি?
আবীর: আসলে টেলিভিশনের অভিনেতা ছিলাম তো! তাই প্রথমে ডাবিংয়ে খুব ভয় পেতাম। শুটে আমি হেঁটেচলে বেড়াচ্ছি, সহ অভিনেতাকে সামনে পাচ্ছি, অ্যাকশন করছি। ডাবিংয়ের সময় একা একটা অন্ধকার ঘরে, সামনে মনিটর। সেটার সঙ্গে তাল মেলানো প্রথমে খুব কঠিন মনে হত। ডাবিংয়ে ভয়ের জেরে আমার প্রথম দিকের ছবিতেও খামতি থেকে গিয়েছে। আমাকে তিনজন হাতে ধরে ডাবিং শিখিয়েছেন। তাঁরা হলেন চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও অঞ্জন দত্ত। আর একজনের কাজ করতে গিয়ে পুরো ব্যাপারটা সড়গড় হয়ে যায়, তিনি রাজ চক্রবর্তী। ওর ‘প্রলয় আসছে’ টেলিভিশন সিরিজ় করতে গিয়ে সব জড়তা কেটে যায়। তখন বুঝতে পারি, ডাবিং প্রতিবন্ধকতা নয়, বরং আমার অভিনয়কে বাড়িয়ে দেওয়ার একটা জায়গা। বাকিটা প্র্যাকটিস। ‘বিদায় ব্যোমকেশ’র সময় যেমন আমি বাঁধানো দাঁত পরে ডাবিং করতাম। এ ছাড়াও সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ডাবিং করতাম তখন জল পর্যন্ত খেতাম না। এখন আমি জানি, ক্যামেরার সামনে অভিনয় কিছু কমতি থাকলে সেটা ডাবিংয়ে ম্যানেজ করে নেব।
প্রশ্ন: বাংলা সিনেমা এখন অনেকটাই প্রচারমুখী। আপনি তো প্রচারবিমুখ!
আবীর: আমার মনে হয় সারা বিশ্বের মানুষই এখন প্রচার চাইছেন। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে আমি প্রচারবিমুখ। কিন্তু সেটা করা কি ঠিক হচ্ছে আমার জন্য? আপনারাই বলুন।
প্রশ্ন: তার পরেও আপনি ১১টা ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত, সমাজমাধ্যমে যে সব নায়কের লক্ষ লক্ষ অনুসরণকারী তাঁদেরও পিছনে ফেলে দিচ্ছেন। কিসের জোরে?
আবীর: আমি বিশ্বাস করি, কাজ আমাকে অন্য দশটা কাজ এনে দেবে। তার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। আমি সেই পথেই হাঁটি। আর এর জন্য প্রচার বাড়িয়ে দেওয়া নয়, বরং আরও কমিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী আমি।
প্রশ্ন: তা হলে ছবির প্রচারের কী হবে?
আবীর: ছবির প্রচারে আমাকে পাওয়া যাবে। সেখানে আমার একটা দায়িত্ব থাকে। আমি চাইব, আমার ছবির সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক দেখুক। আর ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে যেমন আমি জানি একটা চুক্তি থাকে, কিছু জিনিস বিক্রি করতে হয় আমাকে। সেটার বাইরে ব্যক্তিগত জীবনকে প্রচারের আলো থেকে দূরেই রাখতে চাই। আমি সবার সামনে সব কিছু তুলে ধরতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি না।
প্রশ্ন: লোকে কি ঘরকুনো ভাবেন আপনাকে?
আবীর: একদম ঠিক ভাবেন। আমি ঘরকুনোই। যাঁরা এটা বলেন ঠিক বলেন।
প্রশ্ন: এত ধরনের হাতছানি চারপাশে, একটা লম্বা মহিলা ফ্যানডম রয়েছে আপনার, সেই যুগে দাঁড়িয়ে এক নারীতে আবদ্ধ পুরুষ হয়ে থাকাটা কি কতটা সহজ?
আবীর: হ্যাঁ, খুব সহজ। এটার জন্য আলাদা করে আমাকে কিছু চেষ্টা করতে হয় না। কারণ, আমি মানুষটা এ রকমই। আমি নিজের এই সত্তাটা সযত্নে লালন করি। আর অনুরাগিণীদের সঙ্গে সম্পর্কের ভিতরে কোনও দেওয়া-নেওয়া নেই। আমি কাজ করছি পারিশ্রমিক পাচ্ছি, সেটা দিয়ে সংসার চলছে আমার। আমি সেই কাজের জন্য এত মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারছি, সেটা একবারে ‘ইউনিক’ সম্পর্ক।
প্রশ্ন: অতিরিক্ত ভালবাসা বোঝা হয়ে যায়নি কখনও?
আবীর: নাহ, ওটার জন্যই এত পরিশ্রম করা। অনুরাগীরা যদি আমার কাছে এসে একটা সেল্ফি তুলতে না চান তা হলে কীই বা করলাম! আসলে এখন তো সবটাই সেল্ফি-কেন্দ্রিক। তো অনেকেই আমার সঙ্গে ছবি তোলার তাৎক্ষণিক উত্তেজনায় ফোনের ক্যামেরা খুঁজে পান না, এমনও হয়েছে। ছবি তুলতে গিয়ে অনেককেই বলি একটু এগিয়ে দাঁড়াতে। তখন অনেকে হয়তো ভাবেন তারকাসুলভ হাবভাব দেখাচ্ছি। কিন্তু তেমনটা নয়। যাঁরা ছবি তুলতে চান তাঁদের তুলনায় ফ্রেমিংটা ভাল বুঝি। আমি সব সময় বোঝাই যাঁরা ছবি তুলতে চান, তাঁরা আমার টিমের কথাটা শুনলে কাজটা তাড়াতাড়ি হয়। তাঁদের তো শত্রু নই, কিংবা অপমান করাও উদ্দেশ্য নয়।
আবীর: না, আমার বাউন্সার নেই। আমার একটা টিম আছে, তারা আমার সঙ্গে যায় সব জায়গায়। তবে কোনও ইভেন্টে গেলে বাউন্সার থাকে। তখন সুরক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। কেউ কেউ হাত মেলাতে গিয়ে আঘাত দিয়ে ফেলেন। এমনও হয়েছে, হাত চেপে ধরে আমার হাত মটকে দিয়েছেন। তার জন্য অভিযোগ করছি না। তবে আমার টিম সবটা সামলে নেয়, তাই বাউন্সার নিয়ে ঘোরার দরকার পড়ে না।
প্রশ্ন: তা হলে বাউন্সার নিয়ে ঘোরাটা একটা ‘সেলিব্রিটি সিম্বল’?
আবীর: আসলে এটা সবটাই দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। যে যে ভাবে নিজের জীবনটা দেখছে। এখানে ও রকম ঠিক-ভুলের গণ্ডি নেই। আমি যে ধরনের দর্শকের মনে জনপ্রিয়, তাঁরা কিন্তু অবাধ্য নন, বরং সমঝদার। সেই শ্রেণিবিভাগটা থাকে। বেশি বাড়াবাড়ি দেখলেই আমি সোনাদা হয়ে যাই, বকাঝকা করি তখন। ফিরিয়ে দিই।
প্রশ্ন: এই পুজোয় আপনার দুটো ছবি, দেবের একটা ছবি। অতীত রেকর্ড বলছে, পুজোর ছবির স্কোরকার্ডে আপনি খানিকটা এগিয়ে। কিন্তু দেব পর পর হিট দিচ্ছেন, প্রতিযোগিতাটা কঠিন ?
আবীর: নাহ্! আমি স্কোরবোর্ডে বিশ্বাসী নই। এই এগিয়ে থাকার পিছিয়ে থাকার আলোচনাটা হবে জানি। কখনও কখনও এই ধরনের আলোচনা কিন্তু শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তার দায় কিন্তু তারকাদের নয়। আর রইল দেবের কথা। ও বাংলা সিনেমার বক্স অফিসের ইতিহাস নতুন করে লিখছে। সেই কৃতিত্ব ওকে দিতেই হবে। ও যে ভাবে ছবির প্রচার করছে, একেবারে মাঠেঘাটে নিয়ে চলে গিয়েছে, সেটাই প্রশংসার দাবি রাখে। এই প্রতিযোগিতা তো চলবেই।
প্রশ্ন: এটা তো ‘পলিটিক্যালি কারেক্ট’ কথা বলছেন?
আবীর: না, একেবারই না। সত্যি বলতে, একসময় আমার খুবই প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা ছিল। আস্তে আস্তে সময় ও অভিজ্ঞতার কারণে এই মানসিকতা নেই। আমার ছবি বেশি লোকে দেখলে খুশি হব। কিন্তু কম দেখলে হয়তো একটু মন খারাপ হবে। কিন্তু তার জন্য আমি অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামব না। একটু কষ্ট করে এগুলো থেকে নিজেকে বার করে এনেছি। গত দু’বছর ধরে এগুলো থেকে দূরে আমি।
প্রশ্ন: কিন্তু অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তো নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে বিশ্বাসী।
আবীর: হুম, জানি। কিন্তু এটার মধ্যে থেকে নিজেকে বার করে এনেছি। কারণ, আমি অনেক দিন ধরে কাজ করতে চাই। আমাকে আসলে দীর্ঘ পথ চলতে হবে। আসলে কাজের সঙ্গে একটা অন্য ধরনের বিচ্ছিন্নতার প্রয়োজন হয়। তবে এত প্রতিযোগিতায় মাথা ঘামাই না। বিনয়ী হয়ে বলছি না, এটাই আমি, এ ভাবেই থেকে যেতে চাই। তবে বক্স অফিসে নজর নিশ্চয়ই থাকবে।
প্রশ্ন: প্রতিযোগিতায় যখন নেই, তা হলে ‘রঘু ডাকাত’ দেখতে যাবেন?
আবীর: না, পুজোর সময় পারব না। এখন যদিও মনে হবে প্রচুর লড়াই আমাদের মধ্যে। কিন্তু ‘রঘু ডাকাত’-এর পরিচালকের সঙ্গে আমার পরের ছবি আসছে। পুজোর পর বসে সেই পরিকল্পনা শুরু করতে হবে।
প্রশ্ন: অন্য পরিচালকদের সঙ্গে শিবপ্রসাদ-নন্দিতা জুটির মধ্যে কী ফারাক দেখতে পান?
আবীর: আসলে অন্য পরিচালকদের অনেক সময় দেখেছি মেজাজ হারিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতে। সেখানে ওদের মাথা ভীষণ ঠান্ডা। অসম্ভব গোছানো। তাই কাজটা সময়ে শেষ করা সম্ভব হয়। শিবুদা নিজের ছবি নিয়ে ভীষণ আবেগতাড়িত। পারলে ৩০ দিন প্রচার করায়। নন্দিতাদি হল স্কুলের হেডমিস্ট্রেসের মতো, সবার উপর স্নেহের পরশ রয়েছে।
প্রশ্ন: আপনি ছাড়া ‘রক্তবীজ ২’-এর পঙ্কজ চরিত্রে বাংলা সিনেমার কোন নায়ককে মানাত?
আবীর: (এক মুহূর্তে না ভেবে) জিৎকে দারুণ লাগত। ওকে পুলিশ অফিসারের চরিত্র দারুণ মানায়।
প্রশ্ন: বর্তমানে তারকারা বিভিন্ন আধ্যাত্মিক গুরুর শরণাপন্ন হন, আপনার তেমন কিছু আছে?
আবীর: আমি নাস্তিক, আমার এ সব জিনিসে বিশ্বাস নেই। যাঁরা বিশ্বাস করেন, করুন। আমি নিজের স্থিতাবস্থার জন্য পরিবারের উপর আস্থা রাখি।