• পণের দাবিতে নববধূকে ঘরে আটকে বীভৎস নির্যাতন, ছেড়ে দেওয়া হল সাপ! তারপরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর
    আজকাল | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: চাহিদা মতো পণ না মেলার শাস্তি, নববূধবকে ঘরে আটকে রেখে সাপ ছেড়ে দিল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা! সাপের ভয়ে বাড়ির বউ যখন তুর্কিনাচন নাচছেন তখন তা দেখে হাসির রোল স্বামী-সহ অন্য়ান্যদের। শেষপর্যন্ত সেই সাপের কামড়ে প্রায় যায়-যায় অবস্থা নির্যাতিতা মহিলার। তারপর কী হল?

    শেষপর্যন্ত নির্যাতিতা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে কোনক্রমে ফোন করেছিলেন তাঁর বড় দিদিকে। তিনি এসে হাসপাতালে নিয়ে যান বোনকে।

    বীভৎস এই ঘটনা ঘটেছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানপুর শহরের কর্নেলগঞ্জে।

    নির্যাতিতার দিদি রিজওয়ানা জানান, চলতি বছর ১৯ মার্চ তাঁর বোন রেশমার বিয়ে হয়েছিল শাহনাওয়াজের। বিয়ের পর থেকেই পাঁচ লাখ টাকা পণের দাবি করে শাহনাওয়াজের পরিবার। কিন্ত তা দেয়নি রেশমার পরিবার। কিন্তু, জোরাজুরি বেড়েছিল। চলছিল মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। যা ১৮ তারিখ মারাত্মক আকার নেয়।

    বহু চাপাচাপির ফলে রেশমার পরিবার শ্বশুরবাড়িতে দেড় লাখ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু তাতে মন ভরেনি শাহনাওয়াজের বাড়ির লোকেদের। এরপর বৃহস্পতিবার পণের বাকি টাকার দাবিতে রেশমাকে বাড়ির একটি ঘরে আটকে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে শায়েস্তা করতে ড্রেন দিয়ে সেই ঘরে একটি সাপ ঢুকিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রেশমার দিদি রিজওয়ানার। 

    বন্ধ ঘরে সাপ দেখে ভয়ে পেয়ে যান রেশমা। অভিযোগ, গভীর রাতে সাপটি রেশমার পায়ে কামড় দেয়। সে ব্যথায় চিৎকার করতে থাকে। কিন্তু তাঁর শ্বশুরবাড়ির সোকেরা বন্ধ দরজা আর খোলেনি। বরং বাইরে দাঁড়িয়ে সব দেখে হাসতে হাসতে চলে যায়।

    এরপর রেশমা কোনওক্রমে ফোনে দিদি রিজওয়ানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। পৌঁছানোর পর, রিজওয়ানা বোন রেশমাকে গুরুতর অবস্থায় দেখতে পান। নিয়ে যান হাসপাতালে। যেখানে তাঁকে জরুরি চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

    রিজওয়ানার অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ শাহনাওয়াজ, তাঁর বাবা-মা, বড় ভাই, বোন এবং আরও তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার ধারা।
  • Link to this news (আজকাল)