তাহেরপুরে নাবালিকা ছাত্রী খুনের ঘটনায় উঠে এল নয়া তথ্য
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তাহেরপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রেমিকের বিরুদ্ধে। বাগান থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকা ছাত্রীর দেহ, অভিযুক্ত প্রণজিৎ মণ্ডল গ্রেপ্তার। তাঁকে ৫ দিনের পুলিশ হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরই মধ্যে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সূত্রের খবর, নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করার পর অভিযুক্ত প্রণজিৎ মণ্ডলের হাত রক্তে ভেঁজা ছিল। এমনটাই দেখেছিলেন এলাকাবাসীরা। যা পুলিশকে জানিয়েছিলেন বাসিন্দারা। প্রণজিৎ-য়ের হাতে রক্ত দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। নাবালিকা ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের দিনই গ্রেপ্তার হয় প্রেমিক।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় প্রণজিৎ ওই নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে অভিযুক্ত। এমনটাই জানা গিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে। শুধু তাই নয়, পুলিশ সূত্রে আরো খবর, নাবালিকা ছাত্রীকে খুন করার সময় প্রণজিৎ-য়ের আঙুল কেটে গিয়েছে। প্রেমে প্রত্যাঘাত হতেই এই খুন। অভিযুক্তকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, অভিযুক্তের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছে ছাত্রীর পরিবার। গোটা ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে প্রতিবেশীদের মধ্যেও।
উল্লেখ্য, তাহেরপুর থানার পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা ছিল ওই নাবালিকা ছাত্রী। পরিবারের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁদের মেয়েকে রাস্তায় যাতায়াতের পথে উত্যক্ত করত অভিযুক্ত যুবক। তবে এই বিষয়টা নিয়ে খুব একটা গুরুত্ব দিতে চাননি ছাত্রীর পরিবার।
শুক্রবার মামাবাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই ছাত্রী। সেই সময়েই তার পিছু ধাওয়া করে যুবক। রাস্তা অন্ধকার থাকায় ছাত্রীর মুখ চেপে খানিক টেনে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করে অভিযুক্ত প্রণজিৎ। রাত হয়ে গেলেও মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। এরপরেই এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে একটি গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ। খবর দেওয়া হয় তাহেরপুর থানায়। পুলিস গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যায় মৃতদেহটি।