পিয়ালি মিত্র ও রণয় তিওয়ারি: বেশি দিন আগের কথা নয়, ট্যাংরায় (Tangra) তিনজনকে খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল শহরে। দুই ভাই তাঁদের স্ত্রী ও সন্তানদের খুনের চেষ্টা করে শেষমেশ আত্মহত্যার (Suicide) পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন। সেই ঘটনায় এক শিশু অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেও আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। সেই আঁতকে ওঠা ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ট্যাংরায় (Tangra Murder) চাঞ্চল্য। এবারে বহুতলের নীচ থেকে উদ্ধার হল এক তরুণীর দেহ (Kolkata Crime News)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানাল সাউথ রোডের একটি আবাসনের ২৫ তলায় থাকতেন ২৯ বছরের গরিমা লোধ (Garima Lodh)। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ হঠাৎই বিরাট শব্দ শুনে ছুটে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা এসে দেখেন, আবাসনের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন ওই তরুণী। মুহূর্তের মধ্যেই রক্তে ভেসে যায় চারপাশ।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গরিমা তাঁর পরিবারের সঙ্গেই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। গত বছর মা, বাবা, বোনের সঙ্গে গরিমা এই আবাসনে আসেন। বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন এই তরুণী। আগের রাতেও পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভোরে আচমকা জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেন গরিমা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিস।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাত ১১টা নাগাদ ডিনার শেষ করে নিজের ঘরে শুতে চলে যান তিনি। পাশের ঘরেই ছিলেন মা, বাবা। বহুতলের জানলাগুলি যথেষ্ট বড় এবং সেই জানলা থেকেই তিনি নীচে পড়ে যান। গরিমার হাতে থাকা তাগা, তাবিজ ঘরের মধ্যেই খোলা ছিল। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যাচ্ছে অবসাদ থেকেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন তিনি। আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিস।
জানা যায়, অনেকদিন ধরেই গরিমার বিয়ের সম্মন্ধ দেখা চলছিল। কিন্তু কোন পাত্র পছন্দ হচ্ছিল না তাঁর। সেই নিয়ে চূড়ান্ত অবসাদে চলে যায় গরিমা। মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তার জেরেই এই ঘটনা কি না খতিয়ে দেখছে পুলিস।