মেয়ে বলেই অপছন্দ! ঘ্যানঘ্যান করতেই ৫ বছরের শিশুকন্যাকে পিটিয়ে খুন, লিভ-ইন সঙ্গীর কাণ্ডে শিউরে উঠলেন প্রতিবেশীরা
আজকাল | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: লিভ ইন সম্পর্কের জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। সম্পর্কের পরিণতিতে একমাত্র পথের কাঁটা সঙ্গীর মেয়ে। তাই রাগের মাথায় লিভ ইন সঙ্গীর পাঁচ বছরের মেয়েকে খুন করল এক যুবক। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে তারা।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার রেওয়ারি জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তের নাম রোশন। সে বিহারের বাসিন্দা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই বিবাহিত যুবতী ও তাঁর পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকত রোশন। বিবাহিত যুবতীর সঙ্গে সে লিভ ইন সম্পর্কে জড়িত ছিল।
গত বুধবার যুবতী ও তাঁর লিভ ইন সঙ্গীর মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়। সেই সময় তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। অশান্তির চোটে যুবতী সোজা রেল স্টেশনে চলে যান। আর যুবক রাগের মাথায় বাড়ি ফিরে যায়। সেই সময় বাড়িতে যুবতীর পাঁচ বছরের মেয়ে ছিল। মাকে দেখতে না পেয়ে শিশুকন্যা কান্নাকাটি শুরু করে। বারবার রোশনকে অনুরোধ করে, তাকে তার মায়ের কাছে যেন নিয়ে যায়।
একটানা কান্নাকাটির পরেও শিশুকন্যার আবেদনে গুরুত্ব দেয়নি রোশন। কিন্তু রাগের মাথায় তাকে মেঝেতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে মেরে ফেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুকন্যার। এরপরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় রোশন। শিশুকন্যার আর্তচিৎকার শুনেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখেই পুলিশে খবর দেন সকলে। তড়িঘড়ি করে শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে কয়েক ঘণ্টা পরেই অভিযুক্ত রোশনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, লিভ ইন সম্পর্কের জেরে সন্তানকে খুনের ঘটনা গত জুন মাসেই ঘটেছে। পরপর সন্তান প্রসব করেই খুন।
বছর খানেক পর সদ্যোজাত সন্তানদের হাড়গোড় নিয়ে থানায় হাজির হল যুবক। পুলিশকে সাফ জানাল লিভ-ইন সঙ্গীর কুকীর্তি। যুবক ও যুবতীর কীর্তি শুনে আঁতকে উঠল পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার দু'জনেই।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে ত্রিশূর জেলায় থানায় হাজির হয় যুবক। সেই সময় সে মত্ত অবস্থায় ছিল। থানায় এসেই একটি ব্যাগ টেবিলে রাখে। সেটি খুলেই জানায়, 'এর মধ্যে সন্তানদের হাড়গোড় রয়েছে!' এও জানায়, সন্তান প্রসব করেই তাদের খুন করে লিভ ইন সঙ্গী।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, যুগল বিয়ে করেনি। দীর্ঘদিন লিভ ইন সম্পর্কে রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি দু'জনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছে। যুবক জানতে পারে, যুবতীর অন্যত্র বিয়ের দেখাশোনা চলছে। আরও একটি ফোন রয়েছে তার। যা দিয়ে হবু বরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে সে। এরপরই যুবতীর কেচ্ছা ফাঁস করে।
জানা গেছে, প্রথম সন্তান প্রসব করার পরেই মারা যায়। তার দেহ বাড়ির অদূরে মাটিতে পুঁতে দিয়েছিল। দ্বিতীয় সদ্যোজাত সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে যুবতী। তারপর যুবককে মাটিতে কবর দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কয়েক বছর পর মাটি খুঁড়ে সেই সন্তানদের হাড়গোড় উদ্ধার করে থানায় এনে হাজির হয় সে। জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনাগুলি পরিবারকে জানাত না যুবতী। প্রমাণ লোপাটের জন্য সন্তান প্রসব করেই খুন করে দিত। দু'জনকেই গ্রেপ্তার করে তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।