• টাকা দিবি নাকি দিবি না? রাগের মাথায় ইট দিয়ে ভাইপোর মাথা থেঁতলে দিল কাকা, তারপর... ...
    আজকাল | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গাজিয়াবাদে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত শহর। মাত্র ১৪ বছরের এক কিশোরকে গলা টিপে খুন করল তারই কাকা। জানা গিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের জন্য ধার নেওয়া টাকার জন্য এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ওই কিশোর লক্ষ্যের দেহ উদ্ধার হয় দিল্লির প্রীত বিহারের একটি সিনেমাহলের কাছ থেকে। অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবরাজ ওরফে যশ প্রজাপতি, যিনি পেশায় কেবিন ক্রু কর্মী এবং অবসরে ক্রিপ্টো ট্রেডিং করতেন, সিনেমা দেখার নাম করে ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে লক্ষ্যকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানেই প্রথমে গলাটিপে খুন করেন, তারপর ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেন। খুন করার পর নির্লিপ্তভাবে এলাকারই এক মলে গিয়ে সিনেমা দেখেন যুবরাজ। 

    বাড়ি ফিরে পরিবারের সঙ্গে নিখোঁজ লক্ষ্যকে খোঁজার নাটকও করেন। তদন্তে উঠে এসেছে, যুবরাজ নামে ওই যুবক প্রায় তিন লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিলেন তাঁর কাকা মনবীরের কাছ থেকে। কাকার দাবিতে আংশিক ৫০ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। সেই চাপ থেকে বাঁচতেই এই ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা করেন তিনি। লক্ষ্যের পরিবারের তরফে মিসিং ডায়েরি দায়ের করার পর খোদা থানার পুলিশ তদন্তে নামে। সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইল লোকেশন ট্র্যাকিং এবং গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে যুবরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। ইন্দিরাপুরম এসিপি অভিষেক শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। 

    সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের কানপুরে এক মর্মান্তিক খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ দু’মাসের তদন্ত শেষে পুলিশ এক যুবক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযোগ, প্রেমের জটিলতায় ২০ বছরের এক তরুণীকে খুন করে লাশ সুটকেসে ভরে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত তরুণীর নাম আকাঙ্খা ওরফে মাহি। তিনি কানপুরের বারার এক রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে বাড়তে তারা হানুমন্ত বিহারের একটি ভাড়া বাড়িতে লিভ-ইন সম্পর্কে আবদ্ধ হন। আকাঙ্খার  মা গত ৮ আগস্ট থানায় মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করেন। প্রথমদিকে পুলিশের সন্দেহ ছিল, মেয়েটি হয়তো সঙ্গীর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে। তবে মায়ের অব্যাহত প্রচেষ্টা ও কমিশনারের দপ্তরে আবেদন জানানোয় পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়।তদন্তে ধীরে ধীরে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত যুবক স্বীকার করে যে, তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। বিষয়টি জানতে পেরে আকাঙ্খা প্রায়ই আপত্তি তুলতেন। এ নিয়েই ঝগড়া বাড়তে থাকে। খুনের দিন এক রেস্তোরাঁয় শুরু হওয়া বিবাদ ঘরে ফেরার পর আরও তীব্র হয়ে ওঠে। উত্তেজনার বশে প্রথমে আকাঙ্খাকে  মারধর করে অভিযুক্ত, পরে গলা টিপে হত্যা করে। ঘটনার পর দেহ গোপন করতে তিনি এক বন্ধুকে ডেকে আনেন। দু’জনে মিলে মৃতদেহটি সুটকেসে ভরে মোটরসাইকেলে করে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে বান্দা জেলার চিলা সেতুর কাছে নিয়ে গিয়ে যমুনা নদীতে ফেলে দেন। পুলিশ জানায়, প্রথমদিকে অভিযুক্ত যুবক তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু মোবাইল ফোনের লোকেশন ডেটা ও কল রেকর্ড তার বয়ানের সঙ্গে মিল না খাওয়ায় সত্য প্রকাশ পায়। প্রমাণের মুখে তিনি অপরাধ স্বীকার করেন। অভিযুক্তের সহযোগী, ফতেপুর জেলার বাসিন্দা, তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুইজনকেই আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রেমের সম্পর্কের দ্বন্দ্ব যে এমন ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে, তাতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। পুলিশ জানিয়েছে, মামলার চার্জশিট দ্রুত আদালতে জমা দেওয়া হবে।

     
  • Link to this news (আজকাল)