• পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দেবে রোবট 'সানন্দা', ডিজিটাল বিপ্লবের পথে সরকারি স্কুল...
    আজকাল | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সময় বদলেছে, সেইসঙ্গে বদলাচ্ছে শিক্ষার ধরণও। ডিজিটাল যুগে শিক্ষার পরিকাঠামোয় প্রযুক্তির ব্যবহার এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে বর্তমান প্রজন্মকে। আর সেই দিশার পথেই এবার এক অনন্য উদ্যোগ নিল নদীয়ার কল্যাণীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘পান্নালাল ইনস্টিটিউশন’। এক প্রাক্তন ছাত্রের আর্থিক সহায়তায় এই সরকারি স্কুলের ক্লাসরুম এখন হয়ে উঠেছে অত্যাধুনিক ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ।

    স্কুলের এক প্রাক্তন ছাত্র সন্দীপ মুখার্জীর দান করা ৫০ লক্ষ টাকা অর্থ ব্যয়ে স্কুলে তৈরি হয়েছে দুটি স্মার্ট ক্লাসরুম। যেখানে রয়েছে ৫৫ ইঞ্চির টিভি এবং ডিজিটাল জেনারেটর। কিন্তু সবচেয়ে আকর্ষণীয় সংযোজনটি হল— একটি মানব সদৃশ রোবট। যার নাম সানন্দা। শিক্ষা কর্মীর কাজে ব্যবহৃত এই রোবট সম্ভবত রাজ্যের মধ্যে প্রথমবার কোনো সরকারি স্কুলে ব্যবহার করা হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

    রোবট সানন্দা শুধু প্রযুক্তির প্রদর্শনী নয়। এটি শিক্ষায় বাস্তব প্রয়োগযোগ্য এক মূল্যবান সংযোজন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, সাধারণ তথ্য জানানো, এমনকী বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপনের মতো কাজ করতে সক্ষম এই রোবট। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ না থেকে আরও বাস্তবভিত্তিক এবং উৎসাহ নিয়ে শেখার সুযোগ পাচ্ছে।

    এই পরিবর্তনে স্বাভাবিক ভাবেই দারুণ খুশি স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। তাঁদের মতে, সরকারি স্কুলেও যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সুযোগ সুবিধা পাওয়া যেতে পারে, এই উদাহরণ তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, 'ডিজিটাল শ্রেণিকক্ষ ও রোবট এখন শিক্ষা কর্মীদের কাজে ব্যবহৃত হবে। এই রোবট অনেক বেশি ইন্টারঅ্যাকটিভ হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরাও উৎসাহ দেখাচ্ছে।'

    এই উদ্যোগ শুধু পান্নালাল ইনস্টিটিউশনের নয়, এটি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের এক প্রতীক হয়ে উঠেছে। সরকারি স্কুলে এমন প্রযুক্তিগত সংযোজন অন্যান্য স্কুলের কাছেও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে।

    আজকের দিনে প্রযুক্তির জ্ঞান না থাকলে ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন। আর সেই প্রয়োজনীয়তা মেনেই পান্নালাল ইনস্টিটিউশনের এই রূপান্তর এক সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

    শুধু শিক্ষার পরিবেশ নয়, ছাত্রদের ভবিষ্যৎ গঠনের পথেও এই উদ্যোগ এক গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হয়ে উঠবে বলেই বিশ্বাস অভিভাবক থেকে শিক্ষক সকলের।
  • Link to this news (আজকাল)