• হাতে মাত্র সাড়ে তিনটি আঙুল নিয়েই NEET উত্তীর্ণ, ভর্তি হতে গিয়ে সামনে বাধার পাহাড়...
    ২৪ ঘন্টা | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • রণজয় সিংহ: হাতে মাত্র সাড়ে তিনটি আঙুল। ওই প্রতিবন্ধকতা নিয়েই NEET উত্তীর্ণ প্রশান্ত মণ্ডল। কিন্তু মেডিক্যাল ফিট নয় বলে ডাক্তারি পড়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে হাতের ওই সাড়ে তিনটি আঙুল। এনিয়েই সমস্যায় মালদহের বৈষ্ণবনগরের ছেলে।তব পোলিও তার উত্সাহ কেড়ে নিতে পারেনি।

    দেশব্যাপী ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় সফল হন মালদহের বৈষ্ণবনগরের চরসুজাপুরের বাসিন্দা প্রশান্ত। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল জানিয়েছিল, হাতে স্বাভাবিক ছুরি-কাঁচি ধরার ক্ষমতা না থাকায় ডাক্তারি পড়ার সে উপযুক্ত নয়। ওই কথা শুনেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন প্রশান্ত। তাকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় মুম্বই এইমসে। সেখান থেকে ডাক্তারি পড়ার জন্য ফিট ছাড়পত্র পান প্রশান্ত।

    NEET-এ প্রশান্তর অল ইন্ডিয়া rank ছিল ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৪০৪। আর বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের মধ্যে ৩ হাজার ৬২৭। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বিশেষ সংরক্ষণের সুযোগ দিয়ে প্রশান্তকে ডাক্তারি পড়ার ভেরিফিকেশনের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের ভিত্তিতে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভেরিফিকেশনের জন্য আসে প্রশান্ত। সরকারি আধিকারিকেরা তাঁর বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখেন। তাঁর সিংহভাগ নথিই গৃহীত হয়েছে। তবে, এসসি সার্টিফিকেট আপ টু ডেট না থাকায় তা গ্রহণ করেনি ভেরিফিকেশন বোর্ড।

    মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করে স্বাস্থ্য ভবনে। এরপর প্রশান্তকে জানানো হয়, তাঁর এসসি সার্টিফিকেট রিনিউয়াল এবং উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সই থাকা বাধ্যতামূলক। সংশোধিত ওই নথি সহ আগামী ভেরিফিকেশনের দিন ফের হাজির হতে হবে প্রশান্তকে। শারীরিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রশান্ত মুম্বই এইমস-এর ছাড়পত্র আর হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশ পাওয়ার পর ডাক্তার হওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী। মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি হতে চায় প্রশান্ত। এদিন জামাইবাবুকে সঙ্গে নিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে বিশেষ প্রতিভার প্রশান্ত। তাঁর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন মালদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)