পিয়ালী মিত্র: পুজোর মুখে মুখরক্ষা কলকাতা পুলিসের। ভিনরাজ্যে অভিযান চালিয়ে মিলল সাফল্য। অবশেষে গ্রেফতার গুলশন কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত মিনি ফিরোজ। ধৃতকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
খাস কলকাতায় বেনজির গুলি-বোমাবাজি। গত ১১ সেপ্টেম্বর আনন্দপুর থানার গুলশন কলোনিতে তাণ্ডব চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। সেদিন ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ২ দিন পর ধরা পড়ে আরও এক সন্দেহভাজন। উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র। কিন্তু কোথায় মূল অভিযুক্ত মিনি ফিরোজ? পুলিস যখন কিছুতেই নাগাল পাচ্ছিল না, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিল সে। একের পর এক পোস্ট করে যাচ্ছিল। ফলে পুলিসের ভূমিকা নিয় প্রশ্ন উঠেছিল।
গতকাল, রবিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের কাছে আজমেরি গেট থেকে মিনি ফিরোজকে গ্রেফতার করে পুলিস। লালবাজার সূত্রে খবর, পরিকল্পনামাফিক আগেই বিহারে পালিয়ে গিয়েছিল ফিরোজ। তারপর হামলা চালানো হয় গুলশন কলোনিতে। ওয়াইফাই কলিং. VOIP কলিং ব্যবহার করায় লোকেশন ট্র্যাক করা যাচ্ছিল না। মিনি ফিরোজকে ধরে প্রথমে প্রথমে বিহার, তারপর উত্তরপ্রদেশ, মুম্বইয়ে অভিযান চালায় পুলিস। শেষে সোর্স মারফত খবর পেয়ে দিল্লিতে তল্লাশি অভিযানে চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় মিনি ফিরোজকে।
ধরা পড়েছে একবালপুরে প্রতিবাদী যুবককে খুনে অভিযুক্ত শেখ আমজাদও। গতকাল, রবিবারই নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পুলিস সূত্রে খবর, ভিনরাজ্যে পালিয়ে গিয়েছিল আমজাদ। কিন্তু টাকা অভাবের জন্য কলকাতায় ফেরে সে। অভিযোগ, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে একবালপুর লেনে চার সঙ্গীকে নিয়ে মদের আসর বসেছিল আমজাদ। সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজও! বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন এলাকারই যুবক ধনরাজ প্রসাদ। এরপরই ওই যুবককে আমজাদ ও তাঁর সঙ্গীরা কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ।