আশ্বিনের সকালে বাতাসে শিউলির গন্ধ। ভোরে কত নাম না জানা পাখির কিচিরমিচির। মিঠে রোদ জানিয়ে দেয় মা আসছেন। কিন্তু এখন শিউলি গাছের সংখ্যা কমেছে। পাখির ডাক শোনা যায় ঠিকই, কিন্তু তা সমবেত নয়। প্রকৃতির নিজস্ব সঙ্গীত কোথায় যেন হারিয়েছে!
'পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল'—মদনমোহন তর্কালঙ্কারের সেই চিরচেনা পংক্তি আমাদের ভোরের আদি সঙ্গীতের কথা মনে করায়। এক সময়ে পাখিদের কলতানেই কাটত আঁধার। ভাঙত নিস্তব্ধতা। নতুন সূর্যের আগমন বার্তা দিত তারাই। কিন্তু সেই সুর দিনে দিনে ক্ষীণ হচ্ছে।
সেই ভাবনা থেকেই এবারের দুর্গাপুজোয় স্মৃতির অতলে ডুব দিয়ে সেই শব্দগুলোকে খোঁজার চেষ্টা করছে বাগুইআটি রেলপুকুর ইউনাইটেড ক্লাব। দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে অভূতপূর্ব মণ্ডপ।
দেবীর আরাধনায় রেলপুকুর ইউনাইটেড ক্লাবের এবারের থিম 'শব্দ'। পুজো মণ্ডপ সেজে উঠেছে পাখি ও বাসার আদলে। মণ্ডপের ভিতরে থাকছে বিভিন্ন পাখির ছবি। সেই ছবিগুলোর তলায় লেখা থাকবে তাদের নাম। থাকছে হস্তশিল্পের নিদর্শন।
মানব সভ্যতার আগ্রাসনে অনেক পাখির সংখ্যা কমে গিয়েছে সেই বার্তাও তুলে ধরা হয়েছে পুজো মণ্ডপে। ভিতরে আলোকসজ্জাও আপনাকে ভাবাবে।
থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে দেবীমূর্তি। মায়ের রূপ সকলের নজর কাড়বে বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের।
বাগুইআটি রেলপুকুর ইউনাইটেড ক্লাবের পুজো ভাবনা শিল্পী সোমনাথ তামলির। তাঁর সৃজনশীলতায় রূপ পেয়েছে গোটা মণ্ডপ। দিনরাত এক করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে কর্মীরা কাজ করছেন বলে জানাচ্ছেন অন্যতম উদ্যোক্তা গৌরব বিশ্বাস।