আজ শেষকৃত্য জুবিন গর্গের, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ
বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গুয়াহাটি: আজ মঙ্গলবার শেষকৃত্য হবে গায়ক জুবিন গর্গের। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শুরু হবে শেষযাত্রা। সোমবার এমনটাই জানালেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সঙ্গীতশিল্পীকে শেষবার দেখার জন্য অসমের রাজধানী গুয়াহাটির রাস্তায় জনতার ঢল নেমেছিল রবিবার। তাঁর মরদেহ শায়িত রয়েছে অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্সে। সোমবারও প্রয়াত শিল্পীকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে সেখানে ছিল জনস্রোত। আজ ওই কমপ্লেক্স থেকেই শুরু হবে জুবিনের শেষযাত্রা। সোনারপুরে কামারকুচি এনসি গ্রামের শ্মশানঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এরইমধ্যে জুবিনের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার সকালেই গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হবে। প্রথম ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়েছে, জলে ডুবে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে শিল্পীর। তবে তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। অনেকেই এই রিপোর্টে মানতে নারাজ। সে কারণে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার কথা জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মঙ্গলবার রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। কামরূপ জেলায় সরকারি অফিসও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জুবিনের স্ত্রী গরিমা অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহের সঙ্গে থাকবেন। এছাড়াও থাকবেন রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য একটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্য কোনও গাড়িকে শেষযাত্রায় অনুমতি দেওয়া হবে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুও প্রয়াত শিল্পীকে অন্তিম শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। অন্য রাজ্য থেকেও আসবেন সরকারি প্রতিনিধিরা। অসম পুলিশ মরদেহ বহন করবে। গান স্যালুটের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হবে জুবিনকে। শেষযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে জাতীয় সড়ক জোড়হাট পর্যন্ত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি সোমবার ও মঙ্গলবার রাজ্যে সমস্ত মদের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেঘালয় সরকারও একই সিদ্ধান্ত নিয়ছে। কারণ শেষযাত্রা মেঘালয়ের রাস্তা হয়েই যাবে। বিভিন্ন জায়গায় বড়পর্দা বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে সরকারের তরফে। সেখানে জুবিনের শেষকৃত্য দেখানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জুবিনের পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী অস্থি বিসর্জন ও ১৩ দিনের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান জোড়হাটে হবে। সমস্ত আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি জুবিনের স্মৃতিতে স্মারক তৈরি হবে গুয়াহাটি ও জোড়হাটে।