১২ রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেয় না, হলফনামা বাংলার
বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: স্রেফ পশ্চিমবঙ্গই নয়। দেশের আরও ১২টি রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারি হারে মহার্ঘ ভাতা দেয় না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৪২ কোটি টাকা পাওনা বাকি থাকার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে রাজ্য সরকার ৮০ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছে। রাজ্যের ডিএ মামলায় অতিরিক্ত বক্তব্য হিসেবে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবার মামলার বিবাদী পক্ষ অর্থাৎ রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠন তাদের বক্তব্য জানাবে। দু’ পক্ষের বক্তব্য দেখেই বিচার করে পুজোর পরে হবে ডিএ মামলার রায়দান।
সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া বক্তব্যে রাজ্য জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৬ সালে তার কর্মীদের ডিএ দিত ২ শতাংশ হারে। পরে তা বাড়তে বাড়তে ২০১৬ সালে এসে হয় ১২৫ শতাংশ। সেই হিসেবে কেন্দ্রীয় হারের সঙ্গে সমতুল হলেও তিন বছর পিছিয়ে আছে। তবে ডিএ দেওয়া হয় না, তা নয়। ডিএ পাওয়া সরকারি কর্মীদের ‘অধিকার’ হতে পারে। কিন্তু ‘মৌলিক অধিকার’ নয়। এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি বিপুল এম পাঞ্চোলির বেঞ্চে রাজ্যের এই রিপোর্ট জমা দেন আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ একা নয়। আরও ১২ টি রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেয় না। সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া ১০১ পাতার বক্তব্যে সেই রাজ্যগুলির নামও উল্লেখ করেছে। ঘটনাচক্রে, যার মধ্যে অধিকাংশই বিজেপি শাসিত। রাজ্যগুলি হল, কেরল, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, তেলেঙ্গানা এবং ত্রিপুরা। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩০৯ অনুযায়ী প্রত্যেক রাজ্যের অধিকার রয়েছে তার কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নির্ধারণ করার। রাজ্যের আর্থিক সামর্থ্য, অগ্রাধিকার এবং কর্মচারীদের জন্য আগে থেকে দেওয়া অন্যান্য সুবিধা মিলিয়ে ডিএ নির্ধারিত হয়। ফলে কেন্দ্রীয় সরকার যে ডিএ নীতি নিয়েছে, তা অনুসরণ করতে বাধ্য নয় কোনও রাজ্য।