• ক্রেডিট নিচ্ছেন আর আত্মনির্ভরতার কথা বলছেন! মমতার খোঁচা মোদিকে, দেশে বিজেপি শূন্য হলেই জিএসটি শূন্য হবে: অভিষেক
    বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জিএসটির নতুন কর কাঠামো নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যতই বড়াই করুন না কেন, দেশবাসীর সুরাহার পিছনে বাংলার লড়াইয়ের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করলেন, বিজেপি হারলে ট্যাক্স কমবে।

    সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে জিএসটির নতুন কর ব্যবস্থা। এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে দেদার। বিজেপির তরফে নরেন্দ্র মোদির সাফল্য তুলে ধরে প্রচার করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছে, ‘কমল জিএসটি, হল সাশ্রয়, ধন্যবাদ মোদি সরকার।’ যার পাল্টা বক্তব্য দিতে দেরি করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুর্গাপুজোর উদ্বোধনী মঞ্চ থেকে জিএসটি প্রসঙ্গ তুলে ধরে নাম না করে মোদিকে নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, ক্রেডিট নিচ্ছেন আর আত্মনির্ভরতার কথা বলছেন। কিন্তু আমরাই প্রথম বিষয়টিকে তুলে ধরেছিলাম। এটা কেন্দ্রের কৃতিত্ব নয়, রাজ্যের জন্যই হয়েছে। সাধারণ মানুষ আজ সুরাহা পাচ্ছেন আমাদের জন্যই। মমতা উল্লেখ করেছেন, কেন্দ্রের সরকার শুধু প্রচার করছে কিন্তু রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। নতুন জিএসটি ব্যবস্থায় ২০ হাজার কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। তার উপর কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য আছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এই ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি আমরা মেনে নিয়েছি রাজ্যের মানুষের জন্য। তাঁরা ভালো থাকুন। একইসঙ্গে মমতা এটা মনে করিয়েদেন, বাংলাই মডেল। বাংলার কল্যাণ হলে দেশের কল্যাণ। বাংলা ছাড়া দেশ চলে না। 

    অন্যদিকে জিএসটি প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে চড়া সুরে আক্রমণ করেন সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জিএসটি বাঁচাও উৎসব। তাহলে যেদিন থেকে জিএসটি কার্যকর হয়েছে, সেদিন থেকে এতদিন কি জিএসটি লুট উৎসব চলছিল? অভিষেক স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, চাপে পড়েছে বলেই জিএসটি কমাতে বাধ্য হয়েছেন মোদি। ২৪০টি লোকসভা আসনে নেমেছে বিজেপি। তাই জিএসটি কমিয়েছে। বিজেপি হারলে ট্যাক্স কমবে। বিজেপি জিতলে ট্যাক্স বাড়বে, আজ এটা প্রমাণিত। তাই দেশে বিজেপি শূন্য হলে জিএসটিও শূন্য হবে! 

    অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিরক স্বার্থে কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তা নিয়ে অভিষেকের সরাসরি মন্তব্য, ইডি, সিবিআইয়ের যে ভূমিকা সামনে এসেছে তাতে তাদের নিরপেক্ষ বলা যাচ্ছে না। বিজেপি কোনও নেতা গেলেই সাত খুন মাফ হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের হেনস্তা করছে বিজেপি। আসলে বিজেপির কাছে আছে দুটি ‘ই’—একদিকে ‘ইডি’ আর একদিকে ‘ইসিআই’ (ভারতের নির্বাচন কমিশন)। সেখানে আমাদের কাছে মা-মাটি-মানুষ। তাই অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ই-স্কোয়ার বনাম এম-কিউব। বিজেপি ক্ষমতা থাকলে রুখে দেখাক। এদিন ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার দুর্গাপুজোর গাইড ম্যাপ ও টেলিফোন ডিরেক্টরি উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন পুলিশ কর্তা, মন্ত্রী, বিধায়করা।
  • Link to this news (বর্তমান)