উন্নয়ন হয়নি, কাটোয়ায় পঞ্চায়েত প্রধানের ঘরের সামনে ধরনায় পাঁচ সিপিএম সদস্য
বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: গ্রামের পাঁচ সংসদে কোনও উন্নয়ন হয়নি। পঞ্চায়েত প্রধান নির্বিকার বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত পঞ্চায়েতের পাঁচ সিপিএম সদস্য ধরনায় বসেন। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। কাটোয়ার জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ঘটনা। আন্দোলনকারীদের দাবি, পাঁচ সংসদে দীর্ঘদিন কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। এদিন এসটিকেকে রোডও অবরোধ করেন সিপিএমের কর্মী, সমর্থকরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে সোমবার সন্ধ্যেয় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রধানের ঘরের সামনে অবরোধ চলে।
কাটোয়া-২ ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের ১৯টি আসন। তার মধ্যে পাঁচটিতে সিপিএম জয়ী হয়। বাকি ১৪ আসন তৃণমূলের। এদিন বিষ্ণুপুর গ্রামের ১০ নম্বর সংসদের সিপিএম সদস্য অজয় হাজরা, আখড়া গ্রামের ৭ নম্বর গ্রামের সংসদের সদস্য পাপিয়া পাল, জগদানন্দপুরের ১১ নম্বর সংসদের সদস্য আরতী দাস ও আখড়া গ্রামের ৮ নম্বর সংসদের সদস্য মাধাই ঘোষ ধরনায় বসেন। সিপিএম সদস্যদের দাবি, আখড়া গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তা কাদা জলে ভর্তি থাকে। সাধারণ মানুষের যাতায়াতে প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে। বিষ্ণুপুর থেকে সাহেবতলা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা খানাখন্দে ভর্তি। প্রায় রোজই দুর্ঘটনা ঘটছে। জগদানন্দপুর বাসস্ট্যাণ্ড থেকে মন্দির পর্যন্ত রাস্তারও বেহাল দশা। স্থানীয় গ্রামগুলির বেহাল নিকাশি। রাস্তার দু’দিক আগাছা ও জঙ্গলে ভর্তি। এসব কাজ দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতকে জানিয়েও একচুলও কাজ হয়নি। সেকারণেই আমরা ধরনা কর্মসূচি করেছি। পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মাধাই ঘোষ বলেন, এদিন পঞ্চায়েতে বোর্ড মিটিং ছিল। সেখানে আমরাও ছিলাম। আমাদের দাবিকে প্রধান গ্রাহ্য করেননি। প্রধানের ঘরের সামনে তাই আমরা ধরনায় বসেছি। প্রধান যতক্ষণ না পর্যন্ত নিজে এসে প্রতিশ্রুতি দেন, ততক্ষণ ধরনা থেকে উঠব না। এদিকে জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রধান হারু দাস বলেন, পঞ্চায়েত উন্নয়নমূলক কাজ ঠিকই করছে। সিপিএম ধরনায় বসবে এটা জানা ছিল না। • নিজস্ব চিত্র