• বাঙালি হেনস্তার প্রতিবাদে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে
    বর্তমান | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তার প্রতিবাদে নবদ্বীপে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিল কিছু পরিবার। নদীয়া জেলার প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্যে কাজ করেন। ভিনরাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের ইস্যুতে সম্ভবত এই প্রথম গেরুয়া শিবিরে দলত্যাগের ঘটনা ঘটল।

    বিজেপির নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অপর্ণা নন্দী অবশ্য বলেন, মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে ওঁদের তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা শাসকদলের চক্রান্ত। এদিন নবদ্বীপের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের চারটি বিজেপি সমর্থক পরিবার সহ আরও বেশ কিছু পদ্মকর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। নবদ্বীপের বড়ালঘাটে বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহার কার্যালয়ে তাঁরা শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নেন। সেখানে বিধায়কের পাশাপাশি নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা, সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের দলনেতা মিঠুন ঘোষ, প্রাক্তন উপপ্রধান বলরাম মণ্ডল ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরূপ সরকার উপস্থিত ছিলেন।  মাজদিয়া-পানশিলার ২০২নম্বর বুথে বিজেপির বিএলএ-২ ছিলেন তপন দাস। তিনি এদিন শাসকদলে যোগ দিয়ে বলেন, ওই বুথে বিজেপির নির্বাচন-সংক্রান্ত সমস্ত কাজই করতাম। ২০১৮সাল থেকে বিজেপি করে আসছি। কিন্তু এখন দেশজুড়ে যে বাংলাবিদ্বেষী কাজকর্ম চলছে, মূলত তার প্রতিবাদে দল ছেড়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প এবার মানুষের কাছে পৌঁছে দেব।

    অপর যোগদানকারী জয়দেব মণ্ডল বলেন, আগে সিপিএম করতাম। পরে বিজেপিতে যোগ দিই। কিন্তু এই দলে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। তাই পরিবার সহ তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। বিমানকৃষ্ণবাবু বলেন, ওই বুথের অনেক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের শরিক হতেই তাঁরা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মানুষকে পরিষেবা তো দিতে পারছে না। উল্টে বাঙালি, বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ শানাচ্ছে। এরাজ্যের ২২লক্ষ মানুষ ভিনরাজ্যে কাজ করেন। সেখানে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের দেড় কোটি লোক এরাজ্যে কাজ করেন। আমরা রাজ্যের ২২লক্ষ লোক ফিরিয়ে এনে যদি এক কোটি লোক ফেরত দিই, তাহলে অবস্থাটা কী হবে? কিন্তু আমাদের নেত্রী ওই পথে হাঁটেন না। বিজেপির বিদ্বেষমূলক কাজেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওদের কর্মীরা শাসকদলে যোগ দিচ্ছেন।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)